রাজস্থান থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। আর কংগ্রেসের হাতে যে সংখ্যা আছে, তাতে তাঁর জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই পরিস্থিতিতে এই প্রথমবার সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হবেন সোন𝔍িয়া। যিনি সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাঁচবারের সদস্য থেকেছেন। যিনি ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যেও উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি থেকে জিতেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে নিয়মিত যেতে পারেননি। সেই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটে দাঁড় না করিয়ে সোনিয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে।
আর সোনিয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানোর বিষয়টি কংগ্রেস এমন সময় ঘোষণা করল, যার কয়েকদিন আগেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনাদের অনেকেই নির্বাচনে লড়াই করার আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছেন। আমি শুনেছি যে অনেকে এখন নিজেদের আসন পালটাতে চান। গতবারও অনেকে করেছিলেন। ꩲঅনেক নেতাই এখন লোকসভার পরিবর্তে রাজ্যসভায় যেতে চান।’ তবে সেই ‘অনেক নেতার’ তালিকায় কারা আছেন, তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি মোদী। কিন্তু তাঁর নিশানায় যে কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল ন൩া।
যে কংগ্রেস আজ সোনিয়া ছাড়াও রাজ্যসভা নির্বাচনের আরও একাধিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ♓হিমাচল প্রদেশ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে অভিষেক মনু সিংঘভিকে। তিনি আগেরবার পশ্চিমবঙ্গ🔯 থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের হাতে একজন বিধায়কও নেই। অন্যদিকে, বিহার থেকে লড়াই করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং। আর মহারাষ্ট্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি চন্দ্রকান্ত হান্দোরেকে।
এমনিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন হতে চলেছে। সেজন্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ১১টি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত কংগ্রেস। কর্ণাটক এবং তেলাঙ্গানা থেকে এখনও প্রাথীদের নাম ঘোষণা করেনি হাত শিবির। মাসকয়🐠েক আগে তেলাঙ্গানায় ক্ষমতায় আসার পরে সেই রাজ্য থেকেই সোনিয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সোনিয়াকে নিজেদের রাজ্যে চাইছিল হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসও।
কেন রাজস্থানকে বেছে নিলেন সোনিয়া?
▨সূত্রের খবর, কংগ্রেসের চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা (সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল, কেসি ব𝓀েণুগোপাল এবং জয়রাম রমেশ) দক্ষিণ ভারত থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। সেই পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের কোনও রাজ্য থেকেই রাজ্যসভায় যেতে সোনিয়া আগ্রহী ছিলেন বলে জানিয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক নেতা। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ থেকে একাধিকবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া। ১৯৯৯ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশের আমেঠি এবং কর্ণাটকের বেল্লারি থেকে জিতেছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে ছেলে রাহুলকে আমেঠি কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে রায়বেরেলি আসন থেকে তিনি লড়াই করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: Samajwadi Party: জয়া বচ্চন-সহ রাজ্যসভার তিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল সমাজবাদী পার্ট💯ি