সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার সম্পূর্ণ উলটো দিকে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মহিলাদের একাংশই দাবি করছেন তাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্🌼ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করিয়েছিল। এদিকে সেই অভিযোগ তুলতে গেলে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। এবার সেই বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকেএবার ডেকে পাঠাল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তিন দিনের মধ্য়ে তাকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।
সন্দেশখালির ঘটনাকে ঘিরে কিছুদিন আগে পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল বিজেপি কার্যত কোণঠাসা করে ফেলছে তৃণমূলকে। গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। ব🔜াংলার প্রচারে এসে বার বার সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্য়ে গঙ্গা দিয়ে প্রচুর জল বয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। তব🅘ে এসবের মধ্য়েই সামনে এল স্টিং ভিডিয়ো। আর তারপরই আচমকাই হাওয়া ঘুরতে শুরু করে। এখানেই শেষ নয়, বুধবার এক মহিলা অভিযোগ করেন তাকে ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করানো হচ্ছে। এমনকী সেই অভিযোগ তুলে নিতে যাচ্ছেন এটা জানাজানি হওয়ার পরেই ওই বিজেপি নেত্রী মাম্পি তাকে ভয় দেখান বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই পুলিশ ওই বিজেপি নেত্রীকে থানায় ডেকে পাঠান বলে খবর।
তবে সব মিলিয়ে এই সন্দেশখালিকাণ্ড যেন ভোটের আগে সব কিছুকে কেমন ওলটপালট করে দিয়েছে। এতদিন এই সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে সভায় সভায় করে গলা ফাটাচ্ছিল বিজেপি, সন্দেশখালির 'নির্যাতিতারা' বিজেপির সভায় গিয়ে 𝄹বলছিলেন কী ধরনের অত্যাচার হয়েছিল। আর সেই তথাকথিত নির্যাতিতারা এখন উলটো সুরে কথা বলত🐈ে শুরু করেছেন। এতে মহা সমস্যায় পড়েছে বিজেপি।
এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘যবে থেকে এই স্টিং ভিডিয়োটি এসেছে তবে থেকে সন্দেশখালিতে যে মা বোনেরা থাকেন, বাংলার মহিলাদের যে অপমান করা হয়েছে, যেভাবে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেটা অসত্𒅌য। আসলে ধর্ষণ নিয়েও বিজেপি নোংরা রাজনীতি করে। মহিলাদের আমরা দোষ দেব না। জমি নিয়ে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। মহিলারা বলেছেন। সেটা নিয়ে আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যা মিটে যেত। তারা এটাও জানতেন না যে যেটা লেখানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে। 𒆙এদের সঙ্গে বিজেপির নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তারাই লিখিয়ে নিল। এই ভিডিয়ো সামনে এল। তারা বলল তাদের কাছ থেকে মিথ্যে করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা সন্দেশখালি থানায় যেতে শুরু করল। পুলিশকে গিয়ে বলল আমাদের উপর ধর্ষণ হয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। আমরা এটা প্রত্যাহার করে নিতে চাই। বিজেপির নেতারা হুমকি দিচ্ছে তোমাদের খুন করে দেব। কাল বাঁকুড়ায় একটি মিটিং চলছিল। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন। স্থানীয় মহিলারা সন্দেশখালির কথা বলেছিলেন। আর তখনই মহিলাদের গালি দেন শুভেন্দু। মহিলাদের উপর ধর্ষণ হয়েছে বলে যে মিথ্য়া কথা লেখানো হয়েছিল তা অপরাধ। সেই সঙ্গেই এখন মহিলাদের গালি দেওয়া সেটাও ঠিক নয়। বাংলার মহিলাদের যেভাবে অপমান করা হচ্ছে সেটা মানা যায় না। ’
অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বসিরহাট পুলিশ জেলার এক আইপিএস আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছে এই সংক্রান্ত ভুয়ো অভিযোগ করেছিলেন যারা তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তিন চারদিন আগে যে ভিডিয়ো সামনে এসেছিল তার পর অভিযোগ হয়। তার ভিত্তিতে এফআইআর হয়েছে। ওই এফআআইআরে গঙ্গাধর কয়াল, শান্তি দলুই, বিজপির মণ্ডল সভাপতি সন্দেশখালি ১ ও প্রার্থী রেখা পাত্রের নাম রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার প্রস্তুতিও চলছে।