লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর এখন চলছে দর কষাকষির পালা। নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুরা নিজেদের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছেন এমন দুই প্রার্থী,যাদের নামের পাশে রয়েছে জেলবন্দী তকমা। জেলে থেকে নির্বাচনে লড়লেও মানুষ তাদের জিতিয়ে এনেছেন। এবার দুই জিতে আসা জেলবন্দী সংসদ যাবেন লোকসভায়। তবে নিজের ইচ্ছে মত যখন তখন, যার তার সঙ্গে যেতে পারবেন না তারা, লোকসভায় শপথ গ্রহনসহ একাধিক বিষয় তাঁরা আটকে যাবেন নিয়মের যাঁতাকলে। ফলে তাদের আদালতের থꦗেকে অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন-বিজেপির সঙ্গ🔥ে দর কষাকষি শুরু নীতীশের…চার মন্ত্রক,বিহারে দ্রুত নিরඣ্বাচনের দাবি জেডিইউর
দুই প্রার্থী নির্দল হিসেবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এরপর জিতেও যান। এক্ষেত্রে তাদের সংসদে যেতে গেলে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। তিহার জেলে রয়েছেন শেখ আব্দুল রশিদ , বিভিন্ন আইনভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বারমুল্লাহ কেন্দ্র থেকে ২ লক্ষের বেশি ভোট জয়ী হন। অন্যদিকে ওয়ারিস দে পঞ্জাবের প্রধান তথা বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা লাগা অমৃতপাল সিং খাদুর সাহিব কেন্দ্র থেকে ১৯৭১২০ ভোট জয়ী হন, অর্থাৎ ব্যাপক ভোট পান। তারাই এবার যেতে চলেছেন সংসদে। এক্ষেত্রে আদালতে আবেদন জানানোর পর, তারা নির্দেশের কপি পাবেন। সেই কপি জেল কর্তৃপক্ষকে জমা দিলে, তারা এই দুই জেলবন্✃দীকে সংসদের জন্য ছাড়বেন কর্তৃপক্ষ। পার্লামেন্টে যাওয়ার পথে ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ফোন, কারোর সঙ্গে সাক্ষাৎও করতেও পারবেন না যাওয়ার পথে।
আরও পড়ুন-ক্রস ভোটিং,দলীয় কোন্দলে হার প্যারালিম্পিক্সে জোড়া স্বꦍর্ণপদকজয়ী দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়ার
লোকসভার প্রাক্তন সচিব জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে দুই সাংসদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা সংসদের মূল দ্বার পর্যন্ত যেতে পারবেন, তারপর আর তাদের প্রবেশ করতে দেওয়ܫা যাবে না। সংসদের ভিতরে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব সামলাবেন। দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ভোটে লড়া যায়। অতীতে উত্তর প্রদেশ থেকে একজন সংসদে আসার পর স্পিকারকে বলেছিলেন, তার জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে, তাই তিনি জেলেই থাকতে চান। সংসদের ভিতরে সব সদস্যের একই রকম ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন-কদাচিৎ পরিবারের কথা, উন্নাসিকতা ছেড়ে জনতার ম🔯াঝে, নতুন রাহুলে 𝕴ভোলবদল কংগ্রেসের
আইনজীবী এবং তিহার জেল 🅰কর্তৃপক্ষের সুনীল কুমার জানিয়েছেন, প্রথমে লোকসভার স্পিকার আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবে জেল সুপারকে। কিন্তু দুই জয়ী প্রার্থী জেল হেফাজতে থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানাবে। এরপর আদালতের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী তাদের নিয়ে যাওয়া হবে সংসদে। পাঞ্জাবের এক বিধায়কের ক্ষেত্রেও অতীতে এমন দেখা গেছিল, প্রচুর পুলিশ এসেছিল তার সঙ্গে নিরাপত্তা দিতে।