হাইভোল্টেজ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রীতিমতো তুঙ্গে রয়ছে পারদ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের রাজনীতিতে মাতোয়ারা। এরই মাঝে উঠে আসছে প্রতিশ্রুতিতে ঠাসা রাজনৈতিক প্রচার। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আমেঠির সাংসদ থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর গ্রামটি দত্তক নিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, তথ্য বলছে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই গ্রাম শিল্পের দিক থেকে প্রবল উন্নতি করেছিল। তবে ২০২২ সালে রাহুল গান্ধীর দত্তক নেওয়া সেই জগদীশপুর কেমন আছে? সেখানে বিধানসভা ভোটের মাঝে রাজনৈতিক হাওয়াই বা কেমন?জগদীশপুরের বাসিন্দা ত্রয়ম্বক ত্রিপাঠি বলছেন, রাহুল গান্ধী যখন এই গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন, তখন এলাকাবাসীর প্রবল আশা ছিল। ত্রয়ম্বক ত্রিপাঠি বলছেন, গ্রামে এসে রাহুল বহু আশার বার্তা দিয়েছিলেন, তবে ' এরপর আজ ২০২২ সাল হয়ে গেল, রাহুল গান্ধী এখন আর এখানের সাংসদ নন। আর উনি এই গ্রামের দিকে ফিরেও তাকান না। এখানে না স্বাস্থ্যের সুবিধা রয়েছে, না শিক্ষার। সড়কের অবস্থা খারাপ। যিনি একটি গ্রামকেই ঠিক মতো চালাতে পারেননি, তিনি দেশ কি চালাবেন?' উল্লেখ্য, গ্রামের সচিবালয়ের হালও বেহাল। সেখানে ১০ বছর ধরে পঞ্চায়েত প্রধান বা সচিব কেউ আসেননি। এরপর গ্রামবাসী এর অভিযোগ সিডিওকেও করেছিলেন, তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। এদিকে, নিকাশী ব্যবস্থা থেকে পানী জল সরবরাহ এই ক্ষেত্রে একটি বড় ইস্যু। এদিকে, স্মৃতি ইরানি আমেঠির বর্তমান সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তিনি রাহুল গান্ধীকে মাত দিয়ে এককালে কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত আমেঠি জিতে নেন। আর সাংসদ স্মৃতি ইরানিকে ঘিরে এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশ আশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত, স্মৃতি ইরানির কার্যপদ্ধতিতে গ্রামবাসী সন্তুষ্ট হলেও, আরও উন্নয়নের আশা তাঁর করে রয়েছেন।