অডিয়ো টেপ, গুলি করার হুমকি, গাড়ি ভাঙচুর থেকে আক্রমণ সবই দেখা গিয়েছে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে। এবার নতুন সংযোজন প্রার্থীর অশ্লীল ছবি। একুশের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সদস্য জলঙ্গির নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরই একটি অশ্লীল ছবি নেট মাধ্যমে ভাইরাল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আর রাজনীতির ময়দানে এখন প্রার্থীর অশ্লীল ছবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যও। তাঁর অভিযোগ, অশ্লীল ছবিতে তাঁর মুখ লাগিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নেটমাধ্যমে। এই বিষয়ে জলঙ্গিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই নির্দল প্রার্থী বলেন, ‘আমার মুখ ব্যবহার করে অশ্লীল ছবি তৈরি করা হয়। আর তারপর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছড়ানো হয় সেই ছবি। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তাঁর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করেছেন নেটমাধ্যমে। জলঙ্গির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও ব্লক সভাপতি রাকিবুল ইসলামের মদতে এই কাজ করা হয়েছে। সাগরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।’শুধু তাই নয়, নির্দল প্রার্থী জানান, খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নামের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁর সেই তৈরি করা অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেন তাঁরা। ওই নির্দল প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। দল ত্যাগ করে সদ্য তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আবদুর রাজ্জাকের নাম ঘোষণা করার পর, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ এই মুহূর্তে নির্দল প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন। নির্দল প্রার্থীর কথায়, ‘যে দলের কর্মীরা মেয়েদের সম্মান করতে জানেন না, তাঁদের একটিও ভোট দেওয়া উচিত না।’ উল্লেখ্য, আবদুর রাজ্জাকের নাম তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের আর একটি অংশ। তাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ওই সদস্য নাম ঘোষণা করেন। তার পরই জলঙ্গি এলাকায় জোর প্রচার শুরু করেন তিনি। যদিও জলঙ্গির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবদুর রাজ্জাকের দাবি, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যুক্ত নয়। মিথ্যা অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’