গোটা ভোটপর্ব জুড়ে একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগ। মেদিনীপুর থেকে বীরভূম, কোচবিহার থেকে সিঁথি সেই একই সন্ত্রাসের ছবি। করোনার আতঙ্কের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি এখনও বিক্ষিপ্তভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছে। আর সেই কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনার পারদও চড়ছে ক্রমশ। বিনা যুদ্ধে কেউ যে কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না সেকথাই সামনে আসছে রোজ। এই যেমন দক্ষিণ সিঁথি রোড। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই সেখানে একে একে জড়ো হচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলের জন্যই তাঁরা একে একে জড়ো হয়েছিলেন। আর সেখানেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।বিজেপির পতাকা, প্রচার ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। পদ্মফুল প্রতীক সম্বলিত পতাকাগুলিকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়ায়। পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা কোনওভাবেই মানতে চাননি বিজেপি কর্মীরা। ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলের আয়োজনকে ঘিরে তৃণমূলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সেকারণেই কোথাও কোনও পথ না পেয়ে হিংসার আশ্রয় নেয় তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের মদতেই এদিন হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। এদিকে হামলা ও পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, এরকম অবস্থা হয়নি যে বিজেপিকে মারধর করতে হবে। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।