বাঁকুড়া বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায়।এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়ায় ভোট।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী শম্পা দরিপা এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮৩,৪৮৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিনতি মিশ্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৮২,৪৫৭৷ কংগ্রেস প্রার্থী শম্পা দরিপা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মিনতি মিশ্রকে ১ হাজার ২৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০১২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্রের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মিনতি মিশ্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের নীলাঞ্জন দাশগুপ্তকে ১৫,১৩৮ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের পার্থ দে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের কাশীনাথ মিশ্রকে পরাজিত করেছিলেন।২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাশীনাথ মিশ্র সিপিআইএম প্রার্থী পার্থ দে'কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআইএম প্রার্থী পার্থ দে কংগ্রেসের আশিস চক্রবর্তী ছাড়াও ১৯৮৭ এবং ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের কাশীনাথ মিশ্রকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের কাশীনাথ মিশ্র সিপিআইএমের পার্থ দে'কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের পার্থ দে জনতা পার্টির আনন্দী কুণ্ডুকে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের কাশীনাথ মিশ্র এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে সিপিআইএর বীরেশ্বর ঘোষ বাঁকুড়ার এই আসন জিতেছিলেন।১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এস.মিত্র এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের অবনী ভট্টাচার্য এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে বাঁকুড়া যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের শিশুরাম মণ্ডল ও অনাথ বন্ধুরায় উভয়ই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে হিন্দু মহাসভার রাখাহরি চট্টোপাধ্যায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।