সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মণ্ডল।এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন রফিকুল ইসলাম মণ্ডল। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছেননারায়ণ মণ্ডল। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন আইএসএফের বাইজিদ আমিন।বসিরহাট ভারত—বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একটি প্রাচীন শহর। স্বাধীনতার আগে এটি একটি বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। বিভিন্ন ইতিহাসবিদের কথায়, বসিরহাটের নামের নানা উৎস পাওয়া যায়। মহকুমা গঠনের সময়ে প্রশাসনিক কাজের জায়গা ছিল ইছামতী নদীর তীরে বর্তমানে সোলাদানার বাগুন্ডি গ্রাম। ওই বাগুন্ডিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লবণ ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিয়ে সেখানে ‘সল্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ অফিস করে। ইছামতীর লবণাক্ত জল থেকে নুন তৈরি হত। সে কারণে ইংরেজ আমলে বসিরহাটের বিভিন্ন গ্রামে ইছামতী নদীর ধারে নুনের গোলা তৈরি করা হয়। বসিরহাট শহরে ছিল নুনের বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানকার ব্যবসার আরেক পণ্য ছিল নীল। ১৮১০ সালে নীল চাষ শুরু হয় বসিরহাটে। ইছামতীর দু’ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল নীলকুঠি। বসিরহাটকে কেন্দ্র করে নুন ও নীল চাষের ব্যবসা চালায় ব্রিটিশরা। বসিরহাট দক্ষিণ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০১১ সালের আগে একটি কেন্দ্র বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্র ছিল। ২০১১ সালের পর থেকে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র হয়। বসিরহাট দক্ষিণ ও বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র।২০০৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অসিত মজুমদার, ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সৌরেন সেন, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অসিত মজুমদার, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের দিলীপ মজুমদার, ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের দেবীপ্রসাদ নন্দকে পরাজিত করেন নারায়ণ। ১৯৭২ ও ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের ললিতকুমার ঘোষ এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে সিপিআইয়ের এ.বি. বন্দোপাধ্যায় এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের বিজেশচন্দ্র সেন এই আসনে জয়ী হন। ১৯৫৭ ও ১৯৫১ সালের দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রফুল্লনাথ বন্দোপাধ্যায় বসিরহাট আসনে জিতেছিলেন।