শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার মানসিকতা থাকে ব𓂃ামপন্থীদের - এটাই বারবার বিভিন্ন সভা–সমাবেশ, মিছিল, পার্টি ক্লাস থেকে বার্তা দিয়ে থাকেন বাম নেতারা। এবার সেই একই পথে হাঁটতে চাইলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আসলে বামপন্থী কর্মী–সমর্থকদের কাছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনা–চিন্তা করছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ বামেদের। সেখানে তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকলেও আজও বুদ্ধবাবুর কথা শুনতে চায় কর্মী–সমর্থকরা। এই পরিস্থিতিতে দলের কাছে ব্রিগেড সমাবেশে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। রাজ্য সিপিআইএম নেতৃত্বও চেয়েছিল, অল্প সময়ের জন্য হলেও সমাবেশে আসুন বুদ্ধদেব। আবার সশরীরে যদি আসতে না পারেন তাহলে তাঁকে ভার♔্চুয়ালি হাজির করা হোক।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজেই ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। আর তাতেই উত্তেজনা ফুটছে ছাত্র–যুব সংগঠনের সদস্য থেকে নেতা–নেত্রীরা। তবে মেডিক্যাল টিম এই বিষয়ে যতক্ষণ না কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে, ততক্ষণ বিষয়টি অনিশ্চিতই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্ꦫযবেক্ষকরা। কারণ বুদ্ধদেবের মেডিক্যাল টিমকে সিপিআইএম অনুরোধ করেছে, অন্তত যদি পাঁচ মিনিটর জন্যও তাঁকে ব্রিগেডে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেন তাঁরা। এখানে একটি বড় সমস্যা হল, ধুলোয় অ্যালার্জি হয় বুদ্ধবাবুর। আর ব্রিগেড ময়দানে ব্যাপক ধুলো ওড়ে। সুতরাং তাঁর সেখানে যাওয়া কতটা উচিত হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল টিম।
🌞আসলে আজও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। তাঁর বার্তা শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন বামপন্থীরা। ব্রিগেড সমাবেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষবারের মতো ভাষণ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। সেবার শিল্পায়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তিনিই বলেছিলেন, 'কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ।' তবে বুদ্ধবাবু শেষবারের মতো ব্রিগেডে এসেছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তখন অবশ্য তিনি শ্রোতা। তাঁকে দেখে ব্রিগেড মাঠ উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল সেদিন। আর আজও তিনি প্রাসঙ্গিক অসুস্থ অবস্থায়।
এই বিষয়ে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু একটা নাম নয়। বরং তিনি একজন এমন নেতা যাঁর কথা শোনার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন বহু বাম নেতা–কর্মী–সমর্থকরা। তিনি ব্রিগেড সমাবেশে এলে আমাদের কাছে তা খুব খুশির খবর হবে। তবে সবটাই নির্ভর 🦩করছে চিকিৎসকদের উপর।’ জানা গিয়েছে, শরীরও আগের চেয়ে অনেক অশক্ত হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে চোখের সমস্যা। এত প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে এবারও কি তিনি আসতে পারবেন ব্রিগেড মাঠে? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ বামফ্রন্ট তথা সিপিআইএমের ‘তারকা’ বলতে এখনও তিনিই। উত্তর মিলবে রবিবার।
রবিবার।