বজবজ বিধানসভা নির্বাচনে ১,২২,৩৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী তৃণমূলের অশোক দেব। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী তরুণ আদক পরাজিত হয়েছেন।
এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অশোক দেব।এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন তরুণ আদক। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের শেখ মুজিবর রহমানꩵ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্ℱতর দিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। বজবজ এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ১৫৬ নম্বর বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রটি বজবজ পৌরসভা, পুজালি পৌরসভা, বজবজ -১ সিডি ব্লক, কাশীপুর, আলমপুর, উত্তর বাওয়ালি, দক্ষিণ বাওয়ালি, ডোঙ্গারিয়া, রায়পুর গ্রামপঞ্চায়েত ও বজবজ-২ সিডি ব্লকের অন্তর্গত। বজবজ বিধানসভা কেন্দ্র ২১ নম্বর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভꦗা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্র🃏ার্থী অশোক দেব জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৪ হাজার ৫৮৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মুজিবর রহমান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৬ হাজার ৮৯৯৷ তৃণমূল প্রার্থী অশোক দেব তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী মুজিবর রহমানকে ৭ হাজার ১৫৯ ভোটে পরাজিত করেন।
তবে বজবজে রাজনৈতিক সংঘর্ষ প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৯—এর ফেব্রয়ারিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই গুলিবিদ্ধ হন বজবজের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠুন ঠিকাদার।আবার ২০২০ সালে নিজের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হন শাসকদলের বিধায়ক। অভিযোগ, দলের বিধায়ককেই নাকি খুন করতে এসেছিল তৃণমূলের নে🅠তা—কর্মীরা।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে 🌊জিতে টানা পাঁচবারের জন্য বজবজের বিধায়ক হয়েছিলেন অশোক দেব। তাকেই দলের নেতাকর্মীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল তাঁর।ঘটনার দিন নিজের কার্যালয়ে বেশ কিছু অনুগামীদের নিয়ে বসেছিলেন বিধায়ক অশোক দেব। অভিযোগ, সেই সময়েই অন্য🐽 দলের কর্মী বিধায়কের ওই কার্যালয়ে বসা নিয়ে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন স্থানীয় কাউন্সিলর ও নেতা সেখানে হামলা চালায়। বিধায়ক অশোক দেব ও তাঁর অনুগামীদেরও মারধরও করা হয়। ওই ঘটনায় অনেকেই রক্তাক্ত হলেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি অশোকবাবু।