এই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন পরেশরাম দাস। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হলেন অর্ণব রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের প্রতাপ মণ্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্তরদিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। ক্যানিং পশ্চিম এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ৬ এপ্রিল ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৩,৪৯৮৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অর্ণব রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭২,৭৭২৷ তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অর্ণব রায়কে ১৮ হাজার ৭২৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের জয়দেব পুরকাইতকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের দ্বিজপদ মণ্ডল ক্যানিং পশ্চিম (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের গোবিন্দচন্দ্র নস্করকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্বকারী গোবিন্দচন্দ্র নস্কর সিপিআইএমের বিমল মিস্ত্রিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের বিমল মিস্ত্রি প্রতিদ্বন্দ্বী ভাস্কর সিনহাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের গোবিন্দচন্দ্র নস্কর সিপিআইএমের চিত্তরঞ্জন মৃধাকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের চিত্তরঞ্জন মৃধা কংগ্রেসের গোবিন্দচন্দ্র নস্করকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের গোবিন্দচন্দ্র নস্কর এই আসনে জয়ী হযেছিলেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের নারায়ণ নস্কর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেসের এ.সি. হালদার ক্যানিং পশ্চিম আসন থেকে জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের খগেন্দ্রনাথ নস্কর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে ক্যানিং একটি যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের খগেন্দ্রনাথ নস্কর ও আবদুুস সুকুর উভয়ই এই যৌথ আসনে জয়লাভ করেছিলেন।