বিভৎস বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়ে যখন কলকাতার হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মন্ত্রী জাকির হোসেন তখন এই ঘটনায় উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। সঙ্গে চলছে দায় চালাচালির খেলাও। তবে শাসক – বিরোধী সবাই এক মত, জাকিরবাবু ভাল মানুষ।বৃহস্পতিবারই এই বিস্ফোরণের তদন্তভার সিআইডিকে দেয় পুলিশ। তার পরই নিমতিতা স্টেশনে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডির গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে যে বোমা ফেটেছে তা পাকা হাতে বাঁধা। বোমাটির আকার সাধারণ বোমার থেকে বড়। তাই তাতে মশলা ও স্প্লিন্টারও ছিল বেশি। বোমার অবশিষ্টাংশ থেকে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, একাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে হত্যা করতে এই হামলা চালিয়েছে কেউ বা কারা। মন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় চারটি তত্ত্বে গুরুত্ব দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। প্রথমেই এই বিস্ফোরণে বিরোধীদের হাত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকে জাকিরবাবুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। অনেকে আবার তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দকে দায়ী করছেন। আবার অনেকের মতে জেলায় গরুপাচারে কাঁটা হয়ে ওঠায় জাকিরবাবুকে সরিয়ে দিতে চাইতে পারে পাচারকারীরাই।বলে রাখি, নিমতিতা স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব মেরে কেটে আড়াই কিলোমিটার। ফলে এতে বাংলাদেশি হাত রয়েছে কি না তাও লাখ টাকার প্রশ্ন। এদিন জাকিরবাবুর ওপর হামলার নিন্দা করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আবার এই ঘটনায় NIA তদন্ত চান।