নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে রাজ্যের চার আইপিএস অফিসারকে বদলি করা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।সোমবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে টুইটে অভিযোগ করেন, ‘ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ও আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার ৪৫ দিন পর চারজন অফিসারকে বদলি করল নির্বাচন কমিশন।নন্দীগ্রামে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, সেই নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে এবার বীরভূমে পাঠানো হল।রাজ্য সরকারের সঙ্গে কী কোনও আলোচনা করা হয়েছে?উত্তর হল না।’ এখনও ২২, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল, এই তিন দফায় ভোট রয়েছে।তিন দফার ভোটের আগে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে বদলি করা হল।পাশাপাশি আসানসোল–দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার ও বীরভূমের এসডিপিওকেও বদল করা হয়েছে।ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার করা হয়েছে অমিত কুমার সিংকে।সুকেশ জৈনের জায়গায় আসানসোল–দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে মিতেশ জৈনকে।পাশাপাশি অভিষেক রায়ের বদলে বীরভূমের এসডিপিও করা হয়েছে নাগরাজ দোভারাকোন্ডাকে।তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে বীরভূমে পুলিশ সুপার হিসাবে বদলি করা হয়েছে।প্রসঙ্গত ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বয়ালে গিয়ে যথন বুথে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করে এসেছিলেন ওই নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিই।সেই নগেন্দ্রমাথকেই এবার বীরভূমে পুলিশ সুপার হিসাবে পাঠানো হল।সাম্প্রতিককালে প্রতি বছরই বীরভূমে ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি লেগেই থাকে।ফলে এবারে বীরভূমের ভোট কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।তবে যেভাবে রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে একের পর এক অফিসারকে বদলি করা হয়েছে, তাতে কমিশনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।