ষষ্ঠ দফার ভোটপ্রচারের শেষ দিনে গাইঘাটার বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরাডাঙায় এসে হাসপাতাল চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে কথা দিলেন, হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। এদিন মিঠুনের গলায় সমস্যা থাকায় বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি। তবে তাঁকে দেখতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সোমবার গোবরডাঙা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী সংঘের মাঠে জনসভা করেন মিঠুন। রবিবার রায়গঞ্জে সভায় গিয়ে অসুস্থ বোধ করায় এদিন মিঠুন আসবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন বিজেপি নেতারাই। বেলা ১০টায় তাঁর সভা থাকলেও মিঠুন এসে পৌঁছন প্রায় বেলা ১টায়। মঞ্চে মিঠুন উঠতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে উৎসাহী জনতার। তবে এদিন মিঠুনের গলা ছিল ভাঙা। সেই বাধা অতিক্রম করে অল্প কয়েকটি কথা বলেন তিনি। প্রথমেই বলেন, 'আমি যা বলি তাই করি। আর আমি কথা দিলাম এখানে হাসপাতাল হবে। আর সেই হাসপাতালের জেনারেল বেডটা পুরো এসি হবে। আমি পিছনে দাঁড়িয়ে দেখব কী করে না হয়'। মিঠুন বলেন, ‘বিজেপি সরকার এসে সোনার বাংলা গড়বে। আপনারা বিজেপিকে ভোট দিন। ৬ মাসের মধ্যে আমরা পরিবর্তন করে দেখাবো।’ এদিনের সভায় মাস্ক বিলি করে বিজেপি। তবে দূরত্ববিধির বালাই ছিল না।রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ হয়ে যায় গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটি। এলাকায় আর কোনও হাসপাতাল না থাকায় রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। বন্ধ হাসপাতাল চালুর দাবি দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনে নেমেছিল গোবরডাঙার মানুষ। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তার ফল টের পেয়েছে তৃণমূল। ১৭ ওয়ার্ডের গোবরডাঙা পুরসভায় মাত্র ২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল শাসকদল। বাকি সমস্ত ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি।