এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী খগেন্দ্রনাথ মাহাতো ৫২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সঞ্জীত মাহাতো পেয়েছেন ৪০.৩৬ শতাংশ ভোট।একদা বাম গড় বলে পরিচিত এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রার্থী হলেন ডঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। প্রাথমিক গণনার পর এখানে ৫৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে তিনি। গোপীবল্লভপুর বিধানসভা আসনে বিজেপির তরফে লড়ছেন সঞ্জিত মাহাতো। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের প্রশান্ত দাস।গোপীবল্লভপুর ঝাড়গ্রাম জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। বনপাহাড়ির বনভূমির সৌন্দর্য এবং বেলপাহাড়ি পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত। জেলার উত্তরে কাকরাঝোড় এবং দক্ষিণে সুবর্ণরেখা নদী বইছে। এই জেলা পর্যটকদের জন্য একটি প্রিয় গন্তব্য। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চূড়ামণি মাহাতো এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০০,৩২৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএমের পুলিনবিহারী বাস্কে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫০,৭৬৫৷ ৪৯,৫৫৮ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী।২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের রবিলাল মৈত্র গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপন পাত্রকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে বামপ্রার্থী ভবানীশংকর হাতিয়াল তৃণমূল কংগ্রেসের সাম্য মান্ডিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে বামপ্রার্থী রানা শক্তি কংগ্রেসের রেখারানি মাহাতোকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের অতুলচন্দ্র দাস কংগ্রেসের প্রসূন সারঙ্গীকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে বামপ্রার্থী সুনীল দে কংগ্রেসের বিজয় কুমার সাহু ও ১৯৮২ সালে নির্দলের সন্তোষ রানাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে নির্দলের সন্তোষ রানা সিপিআইএমের অবনিভূষণ সতপতিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের হরিশচন্দ্র মহাপাত্র এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। এই আসনেই আবার ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে এসএসপির ধনঞ্জয় কর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের সুরেন্দ্রনাথ মাহাতো জয়ী হয়েছিলেন গোপীবল্লভপুর থেকে। ১৯৫১ ও ১৯৫৭ সালে গোপীবল্লভপুর যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের সুরেন্দ্রনাথ মাহাতো ও জগৎপতি হাঁসদা ওই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কেএমপিপি—ধনঞ্জয় কর ও জগৎপতি হাঁসদা উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।