এই বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুর রেজ্জাক। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন চন্দন মণ্ডল। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সইফুল ইসলাম মোল্লা। জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী, ৭৬ নম্বর জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রটি জলঙ্গি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, কাটলামারি-১, কাটলামারি-২, রাজাপুর ও রানিনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত রানিনগর-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের আবদুর রেজ্জাক মণ্ডল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের অলোক দাসকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। এবারে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুর রেজ্জাক। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন চন্দন মণ্ডল।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিএমের আবদুর রেজ্জাক মণ্ডল জিতেছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৬ হাজার ২৫০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অলোক দাস। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার ৯৮৩৷ সিপিএমের আবদুর রেজ্জাক মণ্ডল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের অলোক দাসকে ২৫ হাজার ২৬৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমে’র আবদুর রেজ্জাক তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেসের ইদ্রিস আলিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬, ২০০১, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমে’র ইউনুস আলি সরকার জলঙ্গি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। ২০০৬ ও ২০০১ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সুব্রত সাহা, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের রঞ্জিত হালদারকে পরাজিত করেছিলেন।১৯৮৭ সালে সিপিআইএমে’র আতাহার রহমান, কংগ্রেসের আবদুল বারি বিশ্বাস, ১৯৮২ সালে আইসিএসের আজিজুর রহমান ও ১৯৭৭ সালে নির্দলের রণজিৎকুমার হালদারকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭১—৭২ সালে ভারতীয় জন সংঘের প্রফুল্লকুমার সরকার এই আসনে জয়ী হন। তার আগে ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের আজিজুর রহমান এই আসনে জিতেছিলেন।তারও আগে ১৯৬২ সালে নির্দলের আবদুল বারি মোক্তার এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের গোলাম সোলেমান এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে জলঙ্গি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের এ.এম.এ.জামান।