বিধানসভা নির্বাচনে ১,১৩,৯২৮ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির কৌশিক রায়। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী মনোজ রায় ১,০২,৩৪১টি ভোট পেয়েছেন।এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মনোজ রায়। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছেন কৌশিক রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন আরএসপির নরেশচন্দ্র রায়। ময়নাগুড়ি আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।জলপাইগুড়ি জেলা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ভাগে অবস্থিত। জেলার পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলা, পশ্চিমে দার্জিলিং জেলা, উত্তরে ভুটান এবং দক্ষিণে কোচবিহার জেলা এবং বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এই জেলার সদর হল জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়ির বিধানসভা আসনগুলি হল - নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি, মেখলিগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, মালবাজার, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, জলপাইগুড়ি ও রাজগঞ্জ। ইতিহাস অনুযায়ী, এই জেলার নাম জল্পেশ্বর থেকে এসেছে যেটা শিব ঠাকুরের আরও এক নাম। কিন্তু কেউ কেউ বলে এই স্থানে আগে নাকি জলপাইয়ের গাছ প্রচুর মাত্রায় ছিল। যার জন্য এই জায়গার নাম জলপাইগুড়ি। পূর্বে এই স্থানটি কোচ-রাজবংশীদের এক ভাগ ছিল যার নাম ছিল কামতাপুর। ১৮৬৯ সালে এই জেলা স্থাপন করা হয়। ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ১৭ এপ্রিল ময়নাগুড়িতে ভোটগ্রহণ।ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১৬ নম্বর ময়নাগুড়ি (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি ময়নাগুড়ি সিডি ব্লকের অন্তর্গত। ময়নাগুড়ি (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অনন্তদেব অধিকারী জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০০,৮৩৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আরএসপি প্রার্থী ছায়া দে রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৫,৯৩০৷ তৃণমূল প্রার্থী অনন্তদেব অধিকারী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসপি প্রার্থী ছায়া দে রায়কে ৩৪,৯০৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।