নাম একই শুধু পদবি আলাদা। ব্যাক্তি দু’জন কিন্তু পদ একটাই।আমডাঙা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী—র নাম নিয়ে এবার চরম বিভ্রান্তি ছড়াল। অবরোধ-বিক্ষোভও হল দেগঙ্গায়। ফলে, রাস্তায় আটকে পড়ল যানবাহন।তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় প্রকাশিত আমডাঙার প্রার্থী—র নাম রয়েছে ‘মুস্তাক মোর্তাজা’। কিন্তু আরেক ‘মুস্তাক আহমেদ’ তিনি আবার আমডাঙারই তৃণমূল কর্মী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। আচমকাই তিনি দাবি করে বসেছেন যে, তালিকা প্রকাশের আগের রাতেই তাঁকে প্রার্থী করার উদ্দেশ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর মতামত নিয়েছেন! তালিকায় তাঁর পদবি ভূল এসেছে।দলে মুস্তাক মোর্তাজা বলে কেউ নেই। ফলে, বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে ওই কেন্দ্রে।কিন্তু যে মুস্তাক মোর্তাজা—র নাম তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে, দলের একাংশের মতে তাঁর নাম ‘মোর্তাজা হোসেন’। তিনি তৎকালীন বাম জমানার মন্ত্রীও ছিলেন। অবশ্য পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই মোর্তাজাকেই প্রার্থী করা হয়েছে বলে দলের ওই একাংশ মনে করছেন।সেক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রকৃত তৃণমূল প্রার্থী কে, এই প্রশ্নে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ছড়ায়। এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘পিকে(প্রশান্ত কিশোর)-এর আইপ্যাক টিম থেকে আমার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয়, আমি প্রার্থী হতে চাই কি না।’ তিনি সম্মতি জানানোর পর তাঁর আধার কার্ডের কপি ও সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি নেওয়া হয়। তাঁর দাবি, ‘আমার পদবি ভুল এসেছে। মুস্তাক মোর্তাজা নামে দলে কেউ নেই, যিনি প্রার্থী হতে পারেন।’অবশ্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোর্তাজা হোসেনের কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমডাঙার প্রার্থী হচ্ছেন বাম জমানার মন্ত্রী মোর্তাজা হোসেন।’ অর্থাৎ মোর্তাজা হোসেনই প্রার্থী বলে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী।তবে তালিকায় প্রকাশিত নাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে দলের অন্দরেই।অন্য দিকে, ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে আমডাঙার সন্তোষপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। সেখানে পৌঁছে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।