বোমাবাজি ও গুলি চললেও ষষ্ঠ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করল নির্বাচন কমিশন। আজ মোট অভিযোগ পড়েছে ১ হাজার ৯৯২টি। ব্যারাকপুরের ১০৮ বিধানসভা কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার হয়েছে। তবে শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। করোনা আবহে বাংলার বাকি দু’দফার ভোটকে একসঙ্গে করা হবে কিনা তা নিয়েই এই বৈঠক। সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সেই নিয়েই আলোচনা হতে পারে। এদিন ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৫ নম্বর এবং ৩৬ নম্বর বুথে তিন রাউন্ড গুলি চলেছে। তাতে দু’জন আহত হয়েছে। একজন ওসি এবং আর একজন কনস্টেবল। তাদেরকে বাগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগদার ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন প্রায় ২৫০ মানুষ একসঙ্গে জমায়েত হয়েছিলেন। তার পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন বাধ্য হয়ে রাজ্যের পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। তার মধ্যে একজন ওসি এবং অন্যজন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘৯টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তিন রাউন্ড গুলির আঘাতে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। নাম বুদ্ধ সাঁতরা তার পায়ে গুলির আঘাত লেগেছে। আর একজন মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরার আঘাত গুলিতে লেগেছে কিনা রা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। তাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা। থাকবেন সিইও। দুই পর্যবেক্ষককেও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে দুই দফার ভোট কি একদফাতেই সম্পন্ন হবে? মনে করা হচ্ছে, সেই নিয়ে হয়তো আলোচনা করবে নির্বাচন কমিশন। কারণ হাইকোর্ট আজ কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে।