ভোট শুরু হওয়ার ঠিক আগেই ‘টুম্পা সোনা’ গানের প্যারডিতে মজেছিল বাম শিবির।মিটিং—মিছিলে—সভায় এই ‘ভাসান গীতি’—র ‘বাম ভার্সানে’ তাল মিলিয়েছিলেন দলের কর্মী—সমর্থকরা। তবে করোনার কোপে পড়ে বদলে ফেলতে হল প্রচারের মাধ্যম। পুরাতন ঐতিহ্যের পথেই পা বাড়াল বামফ্রণ্ট। তাই এবার ভোটপ্রচারে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের মতো সরকারি চ্যানেল—রেডিওর ওপরেই ভরসা রাখল সিপিআইএম। করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাম শিবির জনসভার বদলে, ভরসা রাখতে চাইছে প্রথাগত সরকারি গণমাধ্যমে। তাই বাকি ৩ দফায় সংযুক্ত মোর্চার হয়ে প্রচার করার জন্য আকাশবাণী ও দূরদর্শনকে বেছে নিয়েছে সিপিএম। করোনার জন্য ইতিমধ্যেই সভা—মিটিং—মিছিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম শিবির। এখনও তিন দফা ভোট বাকি আছে রাজ্যে। সেজন্য এ বার বিকল্পপথে প্রচার করতে নয়া কৌশল নিল সিপিএম। তবে কেউই আকাশবাণী বা দূরদর্শনের স্টুডিয়োয় যাচ্ছেন না। সবার বক্তৃতা রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণের আগে প্রচারের যাবতীয় রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৩ দফা ভোটে ৩টি পর্যায়ে এই প্রচার চালানো হবে। প্রতি দফায় সিপিএমের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদেরও এই প্রচারে অংশ নেবেন। প্রথম দফায় প্রচার হবে রবি ও সোমবার। এই প্রচারে অংশ নেবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য ও শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু।রবিবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে দূরদর্শনে দলের হয়ে প্রচার চালাবেন অনাদিবাবু ও দীপ্সিতা। এদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একক ভাবে প্রচারে অংশ নেবেন মিনাক্ষী। আবার এদিনই আকাশবাণীতে ৩ দফায় প্রচার করবেন সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা। রাত ৮টা ১০ মিনিট মিনাক্ষীর বক্তৃতা সম্প্রচারিত হবে। রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে প্রচার করবেন সৃজন। সোমবার ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বসু রেডিয়ো বক্তৃতায় জনসাধারণের কাছে ভোট চাইবেন।