না, এবারের ব্রিগেডে তাঁর আর আসা হচ্ছে না। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নাকে অক্সিজেনের নল নিয়ে শেষবার𝓀 ব্রিগেড সমাবেশে এসেছিলেন তিন☂ি। আর একুশের নির্বাচনের আগে আগামীকাল, রবিবার বাম–কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশে তিনি আসতে পারছেন না। কারণ, অসুস্থতা। সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে সে কথা নিজের বার্তায় জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
ব্রিগেডের জনপ্লাবনের কয়েক ঘণ্টা আগে বাড়ি থেকেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা, ‘ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখব🧜র নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আ🥃সবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়🍌ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দি যা কোনওদিন কল্পনাও করতে পারিনি।’ ব্রিগেডে সশরীরে হাজির না থাকার যন্ত্রণা ব্যক্ত করার পাশাপাশি এই সমাবেশের𒆙 সাফল্যও কামনা করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের রাজনীতি মহলে রব ওঠে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কি এবার ব্রিগেডে আসবেন? কারণ, গত ৯ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে রাজ🐲্যের সর্বত্র। তবে সেই বিঘ্ন কাটিয়েও তিনি বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসকদের মতে, এখন যা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস𒉰্থা তাতে তিনি ব্রিগেডে যাওয়ার ধকল নাও নিতে পারেন। চোখের সমস্যাও রয়েছে। তাই এবার ব্রিগেডে বাড়িতেই থাকছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই কথা নিজের বার্তাতেই জানিয়ে দিলেন শনিবার।
এদিনই সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলছিলেন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু একটা নাম নয়। বরং তিনি একজন এমন নেতা যাঁর কথা শোনার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন বহু বাম নেতা–কর্মী–সমর্থকরা। তিনি ব্রিগেড সমাবেশে এলে আমাদের কাছে তা খুব খুশির খবর হবে।’ তবে এবার আর সেটা সম্ভ🐓ব হচ্ছে না। বাম কর্মী–সমর্থকদের কথায়, বাড়িতে থাকলেও আগামীকাল বুদ্ধদেব💞 ভট্টাচার্যের মন পড়ে থাকবে ব্রিগেডে।