‘ওয়ার্ম-আপ’, ‘নেট প্র্যাকটিস’-এর আহ্বান ছিল। কিন্তু কোনও দিকেই যাচ্ছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন ‘ম্যাচ’ খেলাও দূর অস্ত। ফলে আগামী রবিবার নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের সভায় দেখা মিলবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টের। সেই সঙ্গে দিনভর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে যে জল্পনা চলল, তাতেও ইতি টানলেন স্বয়ং সৌরভ।মঙ্গববার দুপুরের দিক থেকে আচমকা রটে গিয়েছিল, রবিবার ব্রিগেডে মোদীর জনসভায় যাচ্ছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বলেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো শুনেছি বিশ্রামে। শরীর ভালো হলে এই রোদে নেট প্র্যাকটিস বা ওয়ার্ম আপে যদি আসেন। মানুষ সেটাই চাইছেন। ওঁনার যদি আবহাওয়া ভালো মনে হয়, তাহলে মাঠে নামবেন।’শমীকের মন্তব্যে সৌরভের বিজেপি-যোগদানের জল্পনা আরও ইন্ধন পায়। একের পর পর ফোন আসতে থাকে সৌরভের পরিবারের কাছে। রীতিমতো অবাক হয়ে যান সৌরভের স্ত্রী ডোনা। পরিবারের তরফে সৌরভের বিজেপি যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নিউজ ১৮ বাংলাকে সৌরভ জানান, ভুল খবর ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ মোদীর জনসভায় তিনি থাকছেন না। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বাম আমল হোক বা তৃণমূল জমানা - কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। একাধিকবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেলেও সৌরভ বরাবরই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান তিনি। রাজনীতির ‘ম্যাচ’-এ অভিষেকের কোনও অভিপ্রায় নেই। তাতেও অবশ্য বিধানসভা ভোটের আগে সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিযে জল্পনা লেশমাত্র কমেনি। বরং গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হতে চলেছেন সৌরভ।এমনিতে নয়া বছরের মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সৌরভের তিনটি স্টেন্ট বসেছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে বিশ্রামে ছিলেন। তারপর বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি চেনা ঘেরাটোপেই থেকেই বিজ্ঞাপন শুটিংও সেরেছেন। বাড়ির বাইরে কোনও অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। এমনকী আমদাবাদে গোলাপি বলের টেস্টে যাওয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা অনুমতি দেননি। তার ফলে সেই যাত্রাও বাতিল করতে হয় সৌরভকে। আপাতত যা খবর, তাতে চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে আইপিএলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবার মাঠে থাকতে পারেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।