মাত্র ছয় দিনের ব্যাবধানে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় সুশান্ত সিং রাজপুত ও তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের। এই দুই মৃত্যু নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ও সংবাদমাধ্যমে জল্পনা তুঙ্গে। আপতত সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। এর মাঝেই ইনস্টাগ্রাম থেকে বিদায় নিলেন অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলি । সুশান্ত-দিশার মৃত্যু নিয়ে যেভাবে তাঁর উপর অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে তাতে বিধ্বস্ত সূরজ। বহুবার সংবাদমাধ্যমকে সেকথা জানিয়েও ছিলেন সূরজ। এই বিতর্কে ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন আদিত্য 𝔍পাঞ্চোলি এবং জারিনা ওয়াহাবও।
সূরজ আগেই জানি♐য়ে ছিলেন, ‘দিশা (সালিয়ান) কে ? আমি তাই জানি না,আমি জীবনে ওঁর সঙ্গে কোনওদিন দেখাই করিনি। সুশান্তের মৃত্যুর পর আমি প্রথম জানতে পারলাম ওর কথা’। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রোলিং এবং বুলিংয়ের শিকার হয়ে ইনস্টাগ্রামের কমেন্টবক্স বন্ধ করে দিয়েছেন সূরজ। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন আগেই, এবার ইনস্টাগ্রাম থেকে বিরতি নিলেন অভিনেতা।
শনিবার তাঁর সমস্ত ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ডিলিট করে দেন সুরজ । শুধু তাঁর ২৮ তম জন্মদিনের (২০১৮) , পোস্টটি তিনি সরাননি । ইনস্টা স্টোরিতে 'হি🐭রো' তারকা লেখেন ,' বিদায় ইনস্টাগ্রাম , যেদিন আবার এই দমবন্ধকর পরিবেশ কেটে যাবে , পৃথিবী আবার সুন্দর হয়ে উঠবে , সেদিন আ🎶বার আমি ফিরে আসব ' ।
এর আগে ই♐ন্ডিয়া টুডে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরজ জানিয়েছিলেন তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তাঁর মা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এবং বার বার অনুরোধ করছেন চুপ করে না থেকে তাঁর মনের সমস্ত কথা খুলে পরিবারকে খুলে বলতে 💃। 'কিন্তু আমি বরাবরই কম কথা বলি এবং নিজের সমস্যা সব সময় খোলা মনে ভাগ করে নিতে পারি না । আমি জানি ওঁনারা কতটা সমস্যায় আছেন , তাই আমি আর চাপ বাড়াতে চাই না ' , এমনটাই জানিয়েছেন জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত।
সূরজের বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি শুক্রবার ‘আজ তাক’কে এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন । তিনি বলেন- সুশান্তের ম্যানেজারের মৃত্যুর সাথে তাঁদের পরিবারকে , তাঁর পুত্রকে অহেতুক জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । সূরজের মা জরিনা ওয়াহাব꧋ও দাবি করেন সুরজ দিশাকে চিনতই না । অহেতুক তাঁর সন্তানের নাম জড়িয়ে তাকে খুনি সাব൩্যস্ত করার চক্রান্ত চলছে বলেই তাঁর মত ।
সব পোস্ট ডিলিট করলেও ২০১৮ সালে নিজের জন্মদিনে জিয়া খানকে নিয়ে লেখা পোস্টটি মুছে দেননি সূরজ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে গত ৬ বছর (বর্তমানে ৮ বছর) ধরে তাঁকে হয়রান হতে হয়েছে সর্বত্র। কেমনভাবꦗে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ সব জায়গায় তিনি পাননি। আদালতে মামলা চললেও তাঁকে সবাই খুনি, ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত করে দিয়েছে। কীভাবে গত ছয় বছরে প্রতিদিন তাঁর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়েছে। তবুও কাছের মানুষদের সমর্থনে তিনি লড়াই চ💛ালিয়ে যাচ্ছেন।