পছন্দ ছিল বিটিএস তারকা জিমিনকে। ভক্ত ছিলেন বিটিএসের। চেয়েছিলেন জিমিনের হয়ে উঠতে। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হল না কানাডিয়ান অভিনেতা সেন্ট ভন কলুচির। জিমিনের মতো হয়ে উঠতে চাওয়ার আশাই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। কারণ এটার জন্য তিনি ১২ বার সার্জারি করিয়েছিলেন। কিন্তু এই ধকল তাঁর শরীর নিতে পারেনি। মাত্র ২২ বছরেই চলে গেলেন তিনি।কয়েক মাস আগেই তিনি শেষ সার্জারি করিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ক্রমে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। একটার পর একটা জটিলতা সামনে আসতে থাকে। অসুস্থতার কারণে ভর্তিও হয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক হাসপাতালে। সেখানে ২৫ তারিখ, ২৫ এপ্রিল মারা যান তিনি।এই সার্জারি করাতে গিয়ে খরচ করেছিলেন কয়েক কোটি টাকা। হ্যাঁ, ভারতীয় মূল্যে টাকার অঙ্কটা প্রায় ১৮ কোটি! কিন্তু স্বপ্নের কাছে সেটাও নগণ্য মনে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কে জানত স্বপ্নপূরণের আগেই তাঁর জীবন ফুরিয়ে যাবে!ভন কলুচি চেয়েছিলেন আমেরিকার এক জনপ্রিয় স্ট্রিমিং নেটওয়ার্কে কে পপ তারকা হয়ে কাজ করবেন। আর সেটার জন্যই তিনি তিনি ধাপে ধাপে বারো বার সার্জারি করান। এই তো বেশিদিন নয়, গত শনিবার তিনি তাঁর চোয়াল প্রতিস্থাপন করতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু সেই ধকল তিনি নিতে পারেননি। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।ভন কলুচির পার্সোনাল ম্যানেজার বলেন তাঁর লক্ষ্য ছিল গায়ক হয়ে ওঠা। হ্যাঁ, তিনি পেশায় অভিনেতা হলেও গায়ক হিসেবে পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন। সেই জন্যই তিনি দক্ষিণ কোরিয়া চলে গিয়েছিলেন। আর তাঁর আদর্শ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএস। এই ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা যে ঠিক কতটা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভনও এই ব্যান্ডের গুণমুগ্ধ ছিলেন। নিজের আদর্শ বানিয়েছিলেন জিমিনকে। কিন্তু তাঁর মতো হয়ে ওঠার যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছিলেন সেটা মর্মান্তিক হয়ে উঠল।ভনের পার্সোনাল ম্যানেজার এরিক বলেন অভিনেতা নাকি তাঁর চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতেন। তাঁর পছন্দ ছিল না এই ইউরোপীয়দের মতো লুক। ৬ ফুট লম্বা চেহারা, সোনালি চুল, নীল চোখ বিলকুল না পসন্দ ছিল তাঁর। তিনি চাইতেন তাঁর যেন এশিয়ানদের মতো ছুঁচলো চোয়াল হয়। আর সেই কারণে ভি আকারের চোয়াল পেতে গত ১ বছরে তিনি ১২ বার প্লাস্টিক সার্জারি করান। এরিকের কথা অনুযায়ী 'ভনের শরীরে গত এক বছরে বিপুল পরিবর্তন এসেছিল। তিনি তাঁর নাকে, ঠোঁটে, ভ্রু সব কিছুতেই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। কিন্তু চোয়াল প্রতিষ্ঠান করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটা করতে গিয়েই সবটা শেষ হয়ে গেল।'