অনেকেই আছেন যারা ক্লান্তি বা একচোখ ঘুম নিয়ে বিছানায় গেলেও সহজে ঘুমোতে পারেন🅘 না। বরং, ঘুম না আসা🅘য় বেশ সমস্যায় পড়েন। মাঝে মাঝে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কেটে গেলেও ঘুম আসতে চায় না। তবে চিন্তা নেই। আপনাদের সঙ্গে আজ শেয়ার করলাম তিন অধিক জনপ্রিয় ঘুমমন্ত্র।
মিলিটারি মেথড
যেমন নাম তেমন কর্মপদ্ধতিও। যা⭕ বের করেছেন মার্কিন নেভির প্রি-ফ্লাইট স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই এমন নাম। উড়োজাহাজ বা জেটবিমান চালানোর আগে পাইলটদের সুনিদ্রা জরুরি। এজন্য তাদের ঘুমের ট্রেনিং দেওয়া হয়! জানেন সেটা কীভাবে? শোAয়ার পর প্রথমে মনযোগ দিতে হবে নিজের মুখের মাংসপেশীর ওপর। কোনওটা টানটান বা চেপে আছে কি না, সেটা অনুভব করুন। তারপর ধীরেসুস্থে পেশী শিথিল করুন। মুখ, চোয়াল ও গলার পেশীও একেবার শিথিল করে দিন। গোটা শরীরটাই যেন বিছানায় আলগা পড়ে থাকে। যেন মনে হয় আপনার শরীরের ওপর আপনার আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এবার কল্পনায় কোনও একটি মোনোরম দৃশ্যের কথা ভাবুন। দেখা গিয়েছে, যারা এটা নিয়মিত চর্চা করে তাঁরা ১২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে পারে।
৪-৭-৮ পদ্ধতি
শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের নেই, তাঁরা এটা মেনে চলতে পারেন। এতে ঘুম আসার পাশাপাশি আপনার ফুসফুসও ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। এটা একটা ব্রিদিং এক্সারসাইজ। আরাম করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ভিতরের সমস্ত বাতাস বের কꦺরে দিন ধীরে ধীরে। এরপর মুখ দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন। শ্বাস ধরে রাখুন ৭ সেকেন্ড। শেষে মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। প্রথম দিকে মনে মনে ১,২,৩… গুণে গুণে করুন💟। তারপর অভ্যাস হয়ে যাবে। এটি মনকে শান্ত করে। শরীর রিল্যাক্সড হয়। শরীর-মনের আরাম মেলায় ঘুমও আসে জলদি।
পিএমআর মেথড
পুরো নাম হলো প্রোগ্রেসিভ মাসল রিল্যাক্সেশন। এ💧ই পদ্ধতিতে শরীরের কোনও একটি পেশীকে প্রথমে টান ট🎃ান করা হয়। এরপর সেটাকে হুট করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। চোখ দিয়েই করতে পারেন। চোখ বড় বড় করে কোনও কিছু দেখুন। দেখবেন কপাল ও ভুরুতেও চাপ পড়ছে। ৫ সেকেন্ড পর চোখ হট করে বন্ধ করে দিন। এবার মুখ চওড়া করে হাসার ভঙ্গিতে খুলুন। ৫ সেকেন্ড পর মুখ বন্ধ করে দিন। এতেও শরীর ও মন রিল্যাক্সড হবে। ঘুম আসবে।