কলকাতা এখন পুজোর আবহে। বিগত কয়েকবছর ধরে বড় পুজোগুলোর উদ্বোধন হয়ে যায় মহালয়ার পরেই। প্রথমা বা দꦜ্বিতীয়া থেকেই লেগে যায় দুর্গা ঠাকুর দেখার ধুম। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। আরজি করের আবহেও চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে শুধু কলকাতা নয় শহরতলীতে। তবে উৎসব যে সবসময় আনন্দের নয়, তাল কাটছে হামেশাই, তার প্রমাণ মিলল সোশ্যাল মিডিয়ায়ꦉ ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো থেকে।
‘ছ্যাবলাদাদা’ নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে যা শেয়ার করা হয়🧜েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাটিতে পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধ ফুচকাওয়ালা দোকান। আর পিছনে এক মহিলাকে চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল। মন্ডপটি হল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সিংহি পার্ক। ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে, সিংহি পর্কের এক কর্মকর্তা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফুচকাওয়ালার চারপাশে বেশ লোকজন জড়ো হতেও দেখা গেল।
আরও পড়ুন: ‘বুড়ির 🔯লজ্জা নেই’! কাটছে না আরজি করের রেশ, পুজোর ফোট𒈔োশ্যুটে ট্রোলে ঋতুপর্ণা
ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘উৎসꦺবে ফিরতে বলছে, যাতে গরিবমানুষগুলো এই উৎসবে একটু আয় করতে পারে। সেখানে গরিব মানুষের পেটে লাথি সিংহী পার্কে। এরা মানুষ না জানুয়ার। কিন্তু মা-বোনেরা প্রতিবাদ করার পর, আর কোনো উত্তর নেই।’
আরও পড়ুন: দেখা মিলল না রাহুলে⛦, মা-ছেলের জমজম🐭াট দুর্গা ঠাকুর দেখা, সহজের ছবি তুলে দিল প্রিয়াঙ্কাই
ভিডিয়োটি খুব ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। একজন তাতে মন্তব্য করলেন, ‘চোরের দলের লোকরা আর কত ভালো হবে। ওরা তো গরিব মানুষের পয়সা নিয়ে বড়লোক হয়েছে। ওতো ভিক্ষে চাইছে না ওখানে খেটে বিক্রি করে খাচ্ছে। চোর চোর বলে চিৎকার করুন।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এরা সবাই শাসক দলের আশীর্বাদপ্রাপ্ত। এই সরকারের পতন আসন্ন’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘এরা মানুষের চামড়া গায়ে জানোয়ার’। চতুর্থজন লিখলেন, ‘আসুন সবাই ✤এই পুজো বয়কট করি। ছড়িয়ে দেই ভিডিয়োটা।’ পঞ্চমজনের মন্তব্য, ‘পূজো মানেই তৃণমূলীদের গুন্ডাবাজি ও থ্রেট তোলাবাজি’।
♔ আরজি 𒁏কর আবহে ‘উৎসবে ফেরা’র ডাক এসেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বরং বলা চলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বান আসার পর থেকেই উঠেপড়ে লাগে পুজো কমিটিগুলো। কারণ, আরজি করের ঘটনা ঘটার পর বেশ চাপা ছিল দুর্গোৎসবের আবহ। তবে এরপরইশুরু হয় বিতর্ক। একদল চাইছে বিচার, আরেকদল উৎসব আর বিচার দুটোই।