বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। এই মতো ২০ জুলাই সেই চিঠিতে সই করেছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। চিঠিটি লেখা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও মৃত্যু ও রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। নানান অভিযোগ করে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সেই চিঠি লিখেছিলেন, য💧েখানে অভিযোগ ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর তাতেই সই ছিল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের।
এদিকে এই ঘটনার ৩-৪দিন পার হতে না হতেই সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকেই পুরস্কার নিতে পৌঁছে গেলেন অনি🍸র্বাণ! এ কী দ্বিচারিতা! সোমবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে পোস্ট করা হয়েছে অনির্বাণের বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণের ছবি। যা দেখে অনেকেই অভিনেতাকে 'ভণ্ড' বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তা𒈔ঁর বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
'দ্বিচারিতা'🍌, ‘ভণ্ডামি’, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ নি🙈য়ে কী বক্তব্য অনির্বাণের?
অনির্বাণ অবশ্য এই ঘটনাকে ভণ্ডামি বলে মনে করছেন না। এবিষয়ে আনন্দবাজারকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ করে চিঠি লেখা হয়েছিল, তাতে তাঁর সম্মতি ছিল বলেই তিনি সেই চিঠিতে সই করেছিলেন। এরপরে যদি কেউ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়াকে তাঁর দ্বিচারিতা বলে মনে করেন, তাহলে তাঁদের সেই যুক্তিকেও অযৌক্তিক বলে মনে করেন না অনির্বাণ। তবে তাঁর কথায়, এটাকে যদি উল্টোভাবে ভাবেন যে রাজ্য সরকার এরাজ্যের মানুষেরই প্রতিনিধি। আর তিনিই এই রাজ্যের অভিনেতা। মানুষের ভালোবাসাই তাঁর সিঁড়ি। আর সেই মানুষের ভালোবাসাকে সম্মান দিয়েই রাজ্য সরকার তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছেন। তাই অনির্বাণের যুক্তি, বিষয়টা যদি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বাইরে গিয়ে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদার নিরিখে ভাবা হয়, তাহলে এই পুরস্কার নেওয়াটা তাঁর𒉰 কাছে গর্বের।
এরপরেও কি অনির্বাণ আবারও কখনও এই সরকারের বিরোধিতꦛা করবেন? একথায় অনির্বাণের সাফ জবাব, 'প্রয়োজন পড়লে নিশ্চয় করব। যেকোনও পুরস্কারেরই সাফল্যের আনন্দ থাকে, আবার কলঙ্কও থাকে। একদিকে সরকার আমায় পুরস্কার দিচ্ছে, আবার সেই সরকারের কাজ পছন্দ না হলে আমি বিরোধিতা করছি। আসলে আমাদের সমাজে যেহেতু মেরুকরণ হয়ে গিয়েছে, তাই লোকে শয়তান বলে, 🍃ভণ্ড বলে, তবে তাঁদের সঙ্গে তর্ক করার দায় আমার নেই।'