চলতি মাসের শুরুতেই অশান্ত হয় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে, অবস্থা রীতিমতো হাতের বাইরে চলে যায়। সেখান থেকে একের পর এক হত্যা, ডাকাতি, লুঠপাতের খবর আসতে থাক♎ে। এরই মাঝে হঠাৎই গায়েব হয়ে যান আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ অভিনেতা ফিরদৌসের। ভক্তমনে চিন্তা ওঠে, ঠিক আছেন তো তিনি?
হাসিনার পদত্যাগের পর রাস্তাঘাটে আওয়ামী লীগের সদস্যদের উꦓপর অত্যাচার করা শুরু হয়েছিল। পিটিয়ে মারা হয় অভিনেতা শান্ত খান ও তাঁর বাবা প্রযোদক সেলিম খানকেও। এরপর খবর আসে, কোনও এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ফিরদৌস।
অভিনেতা এখনও সামনে আসেননি। রয়েছেন অড়ালেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি পোস্ট করছেন। যা থেকে অভিনেতার ভক্তরা নিশ্চিন্ত, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তিনি। ২০ অগস্ট বাংলাদেশের শিল্পীদের এক হওয়ার ডাক দেন সোশ্যালে। তারপর ২১ অগস্ট আবারও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। যেখানে আওয়ামি লিগের উওত্থান নিয়ে দেন বার্তা।
খবর, বাংলাদেশের অভিনেতা নাকি ভারতেই এসেছেন। প্রসঙ্গত তিনি একটা সময় এদেশের একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন চুটিয়ে। এই বিপদের সময় তাঁর এই দেশকেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়েছဣে। যদিও কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন ফেরদৌস মোটেই দেশ ছাড়েননি। বরং তিনি বাংলাদেশে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে আছেন। এমনকী, কেউ কেউ তো আলোচনা করতে শুরু করেন, পুরনো বান্ধবী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে রয়েছেন তিনি।
৫ অগস্ট রাতেই, হাসিনা দেশ ছাড়ার পর চাঁদপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় শান্ত খান ও সেলিম খানের। 🔜শান্তর বাবা বাংলাদেশের নামী প্রযোজক, শাকিব খানের একাধিক ছবির প্রোডিউসার ছিলেন সেলিম খান। বছর দুয়েক আগে হাসিনার আওয়ামী লিগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। আওয়ামী ল⛄িগ সরকারের আমলে সেলিম খানের উপরে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, এই মামলায় জেলেও যান তিনি।
ফরক্কাবাদ বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়েন সেলিম ও তাঁর পুত্র শান্ত। সেখানে পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে সাময়িক প্রাণে বাঁচলেও খানিক দূর যেতেই ফের একদল উত্তপ্ত জনতার মুখে পড়েন দুজনে। চাঁদপুরের ℱবাগাড়া বাজারে জনতার পিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খান।