প্রয়াত হলেন বিখ্যাত গায়ক-অভিনেতা শক্তি ঠাকুর। বয়স হয়েছিল ৭৩। সোমবার সকালে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। আগেও একবার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর আবারও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রবিবার গভীর রাতের ফেসবুকে সেই দুঃসংবাদ দেন বড় মেয়ে মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর। লেখেন, 'আমার বাবা.... আর নেই... নেই। ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট.....কয়েক ঘন্টার মধ্যেই চলে গেল....আমার বাবা..... কিচ্ছু করতে পারলাম না......।'প্রথম জীবনে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন শক্তি ঠাকুর। পরবর্তীকালে অভিনয় ও সংগীত জগতে পা রেখেছিলেন। ১৯৭৬ সালে তপন সিনহার ‘হারমোনিয়াম’ ছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে গান গেয়েছিলেন। তারপর ক্রমশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, অজয় দাস, আর ডি বর্মনের সুরে গেয়েছিলেন গান। উৎপল দত্তের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। ‘দাদার কীর্তি’ ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েছেন মেহুলি। একরাশ কষ্ট চেপে সকালের দিকে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে বাবা মায়েরা একদিন চলে যায়.... জীবনে কোনোদিনও স্মশানে আসিনি.... আজ সবই জীবনে প্রথম বার...... বাবা ছাড়া আজ থেকে নতুন জীবন........ তুমি কি কোনোদিনও কোনো পাপ করোনি বাবা?..... নইলে এভাবে দুঘন্টার মধ্যে কে চলে যায়? "ধুর আর ভাল্লাগছেনা" বলে চলে গেলে...... সব কিছুতেই তাড়াহুড়োর জন্য কত বকা বকি করতাম...... আজ চলে যাওয়ার সময়ও এমন অদ্ভুত তাড়াহুড়ো কে করে বাবা?.....আমি তো তোমার কার্বন কপি.... আমিও তোমারি মতন তাড়াহুড়ো করে চলে যাবো দেখো......... কষ্টটা লিখে ফেলতে পারলে বোধহয় নিঃশ্বাস নিতে পারতাম......।’তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শক্তি ঠাকুরের ছোটো মেয়ে মোনালি সুইজারল্যান্ডে আটকে পড়েছেন। তিনি দেশে ফিরতে পারেননি বলে খবর।