দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফের একটা খারাপ খবর। প্রয়াত অভিনেতা, পরিচালক মনোবালা। নিজের ফিল্🌌ম করিয়ারে একডজনেরও বেশি ছবিতে সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন মনোবালা। জানা যাচ্ছে, বুধবার𒊎 চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে লিভার সংক্রান্ত বেশকিছু সমস্যা নিয়ে গত ১০ দিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্রকে।
অভিনেতা, পরিচালক মনোবালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। তিনি টুইটারে লেখেন, 'আমার প্রিয় বন্ধু মনোবালা, একজন বিখ্যাত পরিচালক এবং অভিনেতার মৃত্যুতেไ আমি গভীরভাবে শোকাহত। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওঁর আত্মা শান্তিতে থাকু𒁃ক।’
কমল হাসান লিখেছেন, ‘একজন ভালো বন্ধু ছিলেন। পরিচালক, অভিনেতা ও প্রয𓄧োজক, মনোবালার মৃত্যু সংবাদে বড়ই দুঃখ পেয়েছি। তাঁর প্রথম পরিচয় ছিল তিনি সিনেমার অনুরা❀গী। তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
প্রযোজক জি ধনঞ্জয়নও টুইটারে মনোবালার মৃত্যুর খবরে হতবাক। তিনি লেখেন, ‘আমি হতবাক, এটা অবিশ্বাস্য! এমন একজন মিষ্টি মানুষ এবং একজন ভালো বন্ধু মনোবালা স্যার মারা গে কামনা করি।’ অভিনেতা গৌতম ক🍸ার্তিকও টুইটে লেখেন, ‘পরিচালক/অভিনেতা মনোবালা স্যার আর আমাদের মধ্যে নেই, এটা শুনে আঘাত পেয়েছি। আপনার সঙ্গে কাজ করে সত্যিকারের আনন্দ পেয়েছি স্যার! আপনি মনে থাকবেন! পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনের প্রতি সমবেদনা রইল..’।
১৯৭৯ সালে, মনোবালা ভারতীরাজের তামিল ছবি ‘পুঠিয়া ভারপুগাল’ ছবির হাত ধরে সহকারী পরিচালক হিসাবে নিদের কেরিয়ার শুরু করেন। ওই ছবিতে ছোট একটি চরিত্রেও অভিনয🍃় করেছেন তিনি। তিনি ১৯৮২ সালে তামিল ছবি ‘আগায়া গঙ্গাই’ দিয়ে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি জিতেন্দ্র অভিনীত হিন্দি ছবি ‘মেরা পাতি সির্ফ মেরা হ্যায়’ ছবিটিও পরিচালনাও করেছিলেন। তাঁর পরিচালনার অন্যান্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘পিল্লাই নীলা’, ‘সিরাই পারভাই’ এবং ‘ওরকাভালান’। তার পরিচালনায় শেষ ছবিটি ছিল ২০০২-এ মুক্তি পাওয়া তামিল ছবি 'নয়না'।
পরবর্তী সময়ে গত দুই দশক ধরে তিনি অভিনেতা হিসেবেই সক্রিয় ছিলেন। তাঁর কমিক চরিত্রগুলি বেশ জন🅠প্রিয়।২পর্দায় তাXর শেষ উপস্থিতি ছিল কাজল আগরওয়ালের তামিল হরর কমেডি, ‘ঘোস্টি’ শেষবার তাঁকে পর্দায় দেখা যায়।