গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে ‘মেয়েবেলা’। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিরিয়াল থেকে সরে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে সিরিয়ালের বিষয়বস্তুকে ‘রিগ্রেসিভ’ বলে আক্রমণ করা, সবই দেখেছে দর্শক। এরপর ‘মেয়েবেলা’র লেখিকাও পালটা তোপ দাগতে ছাড়েননি। এই গোটা সমালোচনার কেন্দ্রে না চাইতেই জড়িয়ে পড়েছেন আরেকজন, তিনি ‘মেয়েবেলা’র নতুন বীথিকা মিত্র অর্থাৎ অভিনেত্রী অনুশ্রী দ♏াস।
অন্যের জুতোয় পা গলানো মোটেই সহজ কাজ নয়, আর যদি তিনি ‘দ্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়’ হন তাহলে সেই কাজটা দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জিং। ‘দ্রৌপদী’ রূপার অভিনয় থেকে বড় হয়ে ওঠা অনুশ্রীর। তিনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রিপ্লেসমেন্ট, প্রযোজনা সংস্থার থেক𒅌ে অফার হাতে পাওয়ার পর কী প্রতিক্রিয়া ছিল তাঁর? বর্তমান পত্রিকাকে অনুশ্রীর সাফ জবাব, ‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আমার আগে এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ওঁনার অভিনয় নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। তবে আমি অফার পেয়ে প্রথম রূপাদিকেই ফোন করি। জানতে চাই উনি আরেকবার ভেবে দেখতে চান কিনা। তিনি না বলবার পরেই আমি রাজি হই’।
বীথিকা মিত্র হয়ে যথেষ্ট ভয়ে রয়েছেন অনুশ্রী। তিনিও বাংলা টেলিভিশনের পোড় খাওয়া অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন তিন দশক। স্টার জলসার অতি পরিচিত মুখ অনুশ্রী। হালে ‘মোহর’, ‘শ্রীময়ী’, ‘ধুলোকণা’ থেকে ‘এক্কা দোক্কা’ একের পর এক মেগায় দেখা মিলেছে তাঁর। রূপা গঙ্গোপাধ্যা𓄧য়ের বার্তা যথেষ্ট সাহস জুগিয়েছে তাঁকে। অনুশ্রী অপর এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘রূপাদি আমাকে মেসেজ করেন, লাভ ইউ বাবু, আমিও পালটা লিখি লাভ ইউ টু'।
টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বল🉐েন, সেটে গিয়ে তিনি বেশ সন্দিহান ছিলেন হয়ত মউ-ডোডো কেউই তাঁকে নতুন বীথিকা মিত্র ♍হিসাবে আপন করে নিতে পারবে না। তবে খানিক পরেই ভুল ভাঙে তাঁর, বুঝতে পারেন সবটাই তাঁর মনের ভুল।
দর্শক মহলের একাংশ তাঁকে বীথি হিসাবে মানতে না-রাজ। শুরু হয়েছে ট্রোলিং। সেই নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি চেষ্টা করব সব𒉰ার ভালোবাসা পেতে। যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ভালোবাসা দেবেন। আমাদের লেখিকা (দেবিকা মুখোপাধ্যায়) কিন্তু ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য, বাকি দায়িত্বটা আমাদের’। কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে জেনেই এই পথে পা বাড়িয়েছেন তা স্পষ্ট অভিনেত্রীর বক্তব্যে। সব শেষে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে তাঁর কী মত? অনুশ্রী জানালেন, ‘বীথিকা মিত্র ভীষণ ভাবে কঠিন একজন মানুষ। যার মধ্যে অনেক ꦛশেডস আছে, আসলে কোনও চরিত্রই তো আর একটা সরলরেখায় চলে না।’