ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে টলিপাড়ায় করোনা আক্রান্তে সংখ্যা।এবার সেই তালিকায় যোগ হল অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রানী দত্তের নাম। ফেসবুক পোস্টে নিজেই করোনা সংক্রমিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ‘বেলাশেষে’ অভিনেত্রী। অভিনেত্রী এও জানান, তাঁর দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মেয়ে রাজনন্দিনী। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় কিছুটা আফসোসের সুর ইন্দ্রানী দত্তের গলায়। করোনা আবহেও সবরকম সতর্কতা মেনে স্টুডিওপাড়ায় শ্যুটিং সারছিলেন তবুও এড়ানো গেল না করোনাকে। যদিও এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী জানান, খুব সম্ভবত গাড়ির চালকের থেকে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই গাড়ির চালক কাশ ছিলেন, এরপর আচমকাই তিনি অনুপস্থিত, অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইন্দ্রানী দত্ত। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, কাশি দিয়েই নিদ্রাহীন রাতের শুরু… কাজ থেকে ছুটি নিতে হল। আমার মেয়ে এমনভাবে আমার দেখভাল শুরু করল যে আমি তো হতচকিত হয়ে পড়লাম। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এল, ওর চিন্তা দেখতে পেলাম। সে আমাকে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে গেল। আমি ওর একটা অন্যদিক খুঁজে পেলাম… ধৈর্য। একজন মহিলা আমার উপর চিত্কার করছিল কারণ আমার হাতে গ্লাভস ছিল না। ঘরের বাইরে এসে আমি দেখলাম ও কাঁদছে! আমি প্রশ্ন করলাম তোমার কী হয়েছে? ও বলল, উনি তোমার সঙ্গে ঝগড়া করছেন কেন? আমি কিছুই করতে পারলাম না, শুধু এই বলে ওকে সান্ত্বনা দিলাম উনি শুভাঙ্ক্ষী, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই উনি একথা বলছেন'। অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'মেয়ে আমার জন্য ভালোরকম প্রোটেকশন দেবে এমন মাস্ক আর ডিসপোজেবল থালা এনে দিল… আমি আস্তে আস্তে করোনা আক্রান্তেদের জগতে প্রবেশ করলাম। স্বাদ-গন্ধ হারালাম।ওর বাবা মধুমেহ রোগী, সেই কারণে তাঁকেও আলাদা রাখতে হল। সবরকম ঝুঁকি আমার মেয়ে নিল। ভগবানকে ধন্যবাদ! আমার মেয়ের খেয়াল রেখো, যাঁকে তুমিই আমার কাছে পাঠিয়েছো। ভাবলাম এটা সকলের সঙ্গে ভাগ করেনি। যাঁরা আমাকে সারাক্ষণ আমার স্বাস্থ্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন। সকলকে অনেক ভালোবাসা। ভালো থাকুন'। আপতত জি বাংলার 'জীবন সাথী' ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন ইন্দ্রানী দত্ত। অন্যদিকে মায়ের পদচিহ্ন মেনে অভিনয়ের দুনিয়ায় আগেই পা রেখেছে রাজনন্দিনী। পাশাপাশি নাচ-গানেও পারদর্শী সে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক যে ছিল রাজা’ দিয়ে অভিনয় সফর শুরু রাজনন্দিনীর, এরপর ‘উড়নচণ্ডী’, ‘পাঁচ ফোড়ন’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছে সে।