স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই গণ্ডোগোল। দিবসকে ভুলবশত 'দিবেস' আর ভারতবর্ষ-কে ভুলবশত ‘বর্শে’ লিখে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। আর ✱তাতেই বিপত্তি। এবার আমজনতা নয়, মধুমিতাকে ট্রোল করে বসেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। সোশ্যাল মিডিয়া বানান ভুল ধরে তাঁকে অশিক্ষিত 🍌বলে আক্রমণ করে বসেন ঋদ্ধি। আর এমন আক্রমণেই বেজায় বিরক্ত অভিনেত্রী। এবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে গিয়ে ঋদ্ধির পোস্টের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি মধুমিতা।
ভিডিয়ো বার্তায় ঠি কী বলেছেন মধুমিতা?
মধুমিতা বলেন, ‘যাঁদের মনে হচ্ছে আমি দিবেস লিখেছি, আর ভারতবর্ষ বানান ভুল লিখেছি, কারণ আমি অশিক্ষিত, তাঁদের বলি, মোবাইলে টাইপ করার অপশান থাকে, সকলে তো আর বাংলায় টাইপ করতে অভ্যস্ত নয়। সকলে এবিসিডি-র মতো করে বাংলা টাইপ করতে পারেন না। আর অনেকেই হত দেখে থাকবেন, এই অপশানে শ, ষ, পাশাপাশি থাকে। আবার যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয় এটাও দ♕েখেছে, যে ভুলটা ইস্টাগ্রামে চটজলদি ঠিক হয়ে গেছে। তবে ফেসবুকে হয়নি। কারণ আমি নিজেই ফেসবুক খুব করি। তাই ইনস্টাগ্রামের ভুলটা খেয়াল করেছি, সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয়েছে, এটা তো ভুল হয়ে গেছে, তাই ঠিক করে দিয়েছি। তবে ফেসবুকের পোস্টটা দেখিনি। আর এটা তো আমি হাতে লিখিনি, টাইপ করেছি। তাই এটা টাইপো হয়েছে। তাতে যদি কারোর মনে হয় আমি অশিক্ষিত, তাহলে তাঁদের বলি কী মানসিকতা থেকে পোস্ট করা হয়েছে সেটা জাজ করুন।’
মধুমিতা আরও বলেন, ‘আমি যদি অবাঙালি হতাম, তাহলে এটা বলতে পারতেন। তবে একজন বাঙালি যে এটা লিখেছে, এটা যে টাইপো, সেটা একটু বুদ্ধি খরচ করলেই বোঝা যায়। আমার এবার আপনাদের বুদ্ধির উপর প্রশ্ন করতে ই𝕴চ্ছে করে, যে আপনাদের সত্যি জীবনে কি কোনও কাজ আছে, যে একটা দিবেস-র জন্য আপনারা একপাতা লিখছে? তবে আমি খুশি, কৃতজ্ঞ যে আমার জন্য আপনারা নিজের জীবনের এতটা মুহূর্ত, সময় নষ্ট করেছেন। তাই এটা টাইপো কি টাইপো নয়, সেটা ভাবার জন্য একটু বুদ্ধি খরচ করতে ইচ্ছে করেনি। আর আপনাদের স্বাধীনতা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা, কারণ আপনাদেরও তো ট্রোল করার স্বাধীনতা রয়েছে। তাই চালিয়ে যান।’
তবে শুধু ভিডিয়ো পোস্ট করাই নয়, আরও একটা পোস্টে মধুমিতা ঋদ্ধিকে সরাসরি খোঁচা দিয়ে পাল্টা লিখেছেন, ‘আপ আমি আপনার শিক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলব না ঋদ্ধি। কারণ, আমি 🦄সত্যিই আপনার বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করি, রেশমি আন্টি খুব ভালো, আমার মা হয়েছিলেন BSB- (বোঝে না সে বোঝেনা-তে)। তাই আপনার শিক্ষা নিয়ে কথা বললে, আপব্রিংগিং (বড় হওয়া) কথা চলে আসে। তাই আপনি যতদূর গিয়েছেন, আমি ততটা নামতে চাই না।’
প্রসঙ্গত, ঠিক কী বলেছিলেন ঋদ্ধি?
ঋদ্ধি তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, 'স্বাধীনতা দিবেস? ভারতবর্ষ বানান লিখতে জানে? ঘেন্না ধরে গেল! ন্যূনতম লজ্জা, শিক্ষা আর বোধ মুছে গেছে এই বিনোদন জগতের বহু কর্মীর মধ্য থেকে। রক্তে মাখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮ তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা হচ্ছে না। যে রাজ্যের এ🍨ক ডাক্তারের সাদা পোশাক ভেসে গেল রক্তে সেই রাজ্যে এদের মত অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে। এরা কোনও দিনই শিল্পী হতে পারবে না, ছিল না অভিনেতা। অভিনয় শিল্পর সঙ্গে যুক্ত থাকতে গেলে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা। সমাজ, ইতিহাস, শিক্ষা এই শব্দগুলো এদের কাছে ভিনগ্রহী।'
তবে পরে অবশ্য 🅺নিজের এই পোস্ট মুছেও ফেলেন ঋদ্ধি। তবে ততক্ষণে তাঁর পোস্টের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় ঘুরছে। চোখে পড়েছে মধুমিতারও।