শ্রুতি দাস
সময়ের মতো শিক্ষক আমাদের জীবনে কেউ হয় না। তাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুরু ‘সময়’। তবে জীবনে আমরা অনেকের থেকে শিক্ষা পাই। সবাই যে ভালো শিক্ষা দেয় তা নয়, ভালো-ꦛখারাপ সবটাই আমরা পাই। আমার জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু নিঃসন্দেহে আমার মা, তাঁর কাছেই আমার হাতেখড়ি, আমার বর্ণপরিচয় শেখা। তারপরই বাবার স্থান। তিন নম্বরে আসবে সেই সকল মানুষ যাঁরা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে- আমার বন্ধু-বান্ধব, আমার প্রাক্তন প্রেমিক সকলেই।
আজকে শিক্ষক দিবস। অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের কাছে যদি আদর্শ শিক্ষক কে তা জানতে চাওয়া হয়, তাহলে শুরু থেকে শুরু করি। আমার প্রথম পরিচালক সায়ন দাশগুপ্ত। আমার দ্বিতীয় পরিচালক স্বর্ণেন্দু স্যার। সায়ন স্যারের সঙ্গে আমার খুব কম দিনের সম্পর্ক। তবে সায়নদা আমাকে একটা কথা বলেছিল- ‘প্রত্যেকটা পরিচালকের কাছ থেকে যতটা পারা যায় ততটা নিংড়ে নিয়ে নিবি। তাহলে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকদিন টিকতে পারবি’। ওঁনার সঙ্গে দু-তিন🦩 দিন শ্যুট করে অনেকটা শিখেছি।
আরও পড়ুন-‘আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বর্ণেন্দুর স꧋ঙ্গে কাজ করতে চাইছি না’,নিন্দকꦏদের জবাব শ্রুতির
তারপর আমার জীবনে স্বর্ণেন্দু স্যার আসেন। উনি এমন একজন পরিচালক, যার কাছ থেকে আমি জীবনে শিখেছি- কীভাবে ধীর-স্থির এবং শান্ত থাকা যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে হয় সেই পাঠ আমাকে উনি শিখিয়েছেন। স্বর্ণেন্দু স্য়ার এমন একজন ডিরেক্টর যিনি শিল্পীদের স্ব😼াধীনতা দেন, কখনও বলဣেন না এইভাবে পাঠটা কর। এটা আমার ভীষণ পছন্দের।
আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ টিচারদের মধ্যে আমি ওঁনাকে দশে পাঁচ তো দেবই। বাকি পাঁচ নম্বরটা তুলে রাখলাম ভবিষ্যত জীবনে কাজ করবার জন্য। কারণ ওঁনার সঙ্গে মাত্র একটাই কাজ করেছি (ত্রিনয়ণী)। ভবিষ্যত জীবনে আরও অনেক কাজ করবার ইচ্ছা স্বর্ণেন্দু স্যারের সঙ্গে। আর এত বড় পছন্দের পরিচালককে নিজের সঙ্গী হিসাবে পেয়ে আমি সত্যি খুব খুশি। আজ টিচার্স ডে-তে ওঁনাকে অনেক প্রণাম, অনেক ভালোবাসা। আমি চাইব স্বর্ণেন্দু স্য়ার এভাবেই সারাজীবন আমার ফ্রেন্ড, ফিলোজাফার, গাউড আর টജিচার হয়ে আমার পাশে থাকুক।