সোহিনী সরকার, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের সঙ্গে এই নামটি শুরু থেকেই জুড়ে রয়েছে। সাধারণের সঙ্গে পা মিলিয়ে পথে নেমেছেন সোহিনী। এমনকি ফেসবুকের প🍒াতাতেও বারবার সরব হয়েছেন। এবার আরও একবার ফেসবুকের পাতায় আওয়াজ তুলে ধর্ষণ সংস্কꦜৃতি, দুর্নীতি সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাইলেন সোহিনী। ঠিক কী লিখেছেন অভিনেত্রী?
সোহিনী লেখেন, ‘মুক্তি চাই হুমকি সংস্কৃতি থেকে, মুক্তি চাই ধর্ষণ সংস্কৃতি থেকে,মুক্তি চাই দুর্নীতি থেকে,মুক্তি চাই অশিক্ষা থেকে, মুক্তি চাই পিতৃতন্ত্র থেকে।’ সোহনী আরও লেখেন,'ধর্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে , সবাই মিলে we want justice বললেই নাগরিকদের সাথে গলা মিলে যাচ্ছে ... কিন্তু হুমকি, দুর্নীতি পিতৃতন্ত্র নিয়ে কথা বললেই চুনোপুঁটি গুলোকে পিছনে লাগিয়ে দিচ্ছে .. এবার আপনি target ..। আওয়াজ তুলেছেন মানেই তো আপনি শত্রু। এরকম রাজনৈতিক দলবিহীন নাগরিক আন্দোলন দেখেনি এবং যথার্থ রাগের কারণও আছে .. বড়রা কোটিতে , মেজরা লাখে , ছোটোগুলো হাজারে থাকে ...নিজেদের অধিকার সম্পর্কে মানুষ সচেতন হলেই , শিক্ষিত হলেই পকেটে 🎐টান পরবে এদের .. একজনকে দেখলেই আরেকজন আওয়াজ তুলবে ..হুমকি দিয়ে , ট্রোল করে , ভয় দেখিয়ে রাখলে এদের খুব সুবিধা .. ( যে যায় লঙ্কায় , সে হয় রাবণ ) আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভয় পাবো নাকি আওয়াজ তুলবো | ... ভয় যেমন সংক্রামক , সাহসও তেমন সংক্রামক।'
(আরও পড়ুন: 'কোনও হল মালিক পাক🉐িস্তানি ছবি দেখালে, তার মূল্য চ💜োকাতে হবে', ফাওয়াদের ছবি নিয়ে হুঁশিয়ারি রাজ ঠাকরের)
সোহিনীর প্রশ্ন, ‘নিজের যাবতীয় পুঁজি খরচ করে বাবা-মা সন্তানকে পড়াশোনা করতে পাঠান , চাকরি করতে পাঠান এই লুম্পেনগিরি সহ্য করার জন্য? তিলোত্তমার মা নিশ্চিতে ঘুমোতে গেছিলেন, মেয়ে কাজের জায়গায় আছে, সুরক্ষিত আছে ভেবে ... পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই আওয়াজটুকু যদি তুলতে না পারি, ওরা আমাদের ক্ষমা করবেনা, 🍰আর আমরাও নিজেদেরকে নয়। এই পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি /আমরা।’
নিজের এই পোস্টের সঙ্গে তিনটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন সোহিনী সরকার। প্রথম ছবিটি যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের। সেখানে বিশ্ব বাংলার গ্লোবের ঠিক নিচে পোস্টারে লেখা, 'ধীরে চলুন, দেখে চলুন, রাꦑষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে।' দ্বিতীয় ছবিতে এক শিশুর হাতে লেখা পোস্টর, ‘শেষ না দেখো ছাড়বো না।’ তৃতীয় ছবিতে এক মা তাঁর ছোট্ট সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তায় বসে র🌺য়েছেন, পোস্টারে লেখা ‘We Want Justice’।
(আরও পড়ুন: নাতাশার সঙ্গে ডিভোর্সের পর ছেলে অগস্ত্যর সঙ্গে প্রথমবার 🎃দেখা হার্দিকের, কোথায় গেলেন, কী কী করলেন বাপ-বেটায়?)
সোহিনীর এই পোস্টে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বহু নেটনাগরিক সোহিনীর ܫএই মতামতকে সমর্থন করেছেন। তবে তার মাঝেও কিছু লোকজন ট্রোল করতে ছাড়েননি।