Yo Yo Honey Singh: নেশা-অবসাদে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেরিয়ার, তবুও হানি সিং বললেন ‘বলিউড পাশে আছে’

ইয়ো ইয়ো হানি সিং-নামটির সঙ্গে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। বলিউডের জগতে ধূমকেতুর মতো উদয় হয়েছিলেন তিনি। গায়কের সৃষ্টি ট্র্যাকগুলি প্রতিটি পার্টির স্পন্দন যোগ করার জন্য যথেষ্ট। তবে এটা কী জানেন এই প্রাণবন্ত মানুষটাও মানসিক স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন? হ্যাঁ এটাই সত্যি। হানি সিং সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তাঁর সংগ্রামের বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং প্রকাশ করেছেন যে ইণ্ডাস্ট্রির অনেক লোক রয়েছে যাঁরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।কাজের নিরিখে তিনি কিছু বড় তারকাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন এবং কিছু সত্যিই স্মরণীয় ট্র্যাক দিয়েছেন - সেটা 'চেন্নাই এক্সপ্রেস' থেকে 'লুঙ্গি ডান্স' হোক বা 'পার্টি অল নাইট’ কিংবা আরও অনেক।আরও পড়ুন: (সেক্সি মুভস আর এনার্জি নিয়ে আবারও নতুন গানে চমক জুনিয়র এনটিআর-জাহ্নবী জুটির)'দ্য লালানটপ'-এর সঙ্গে একটি আলাপচারিতার সময়, হানি সিং প্রকাশ করেছিলেন যে কীভাবে অক্ষয় কুমার , শাহরুখ খান এবং আরও এঁদের মতো অনেক অভিনেতারা সবসময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অক্ষয় পাজি ফোন করে ফলোআপ করতেন। দীপিকা ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, এবং শাহরুখ ভাই নিয়মিত তাঁর তরফ থেকে ফোন করতেন। আমার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আমি খুব বেশি কথাও বলতে পারিনি, তবে সবাই অনেক সমর্থন দিয়েছে।’গায়ক কিছুদিন আগে এও প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সাইকোটিক সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন। এটি বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের পর্যায়ক্রমে বাড়ে । তিনি এমন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন যে তিনি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করছেন। তিনি আরও যোগ করেছেন যে এমনকি তিনি তার শত্রুদের জন্য এটি কামনা করবেন না।আরও পড়ুন: (শাহরুখ থেকে শিল্পা, সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনায় মেতে উঠতে তৈরি বলিউড তারকারা!)চলতি বছরের মার্চ মাসে, একটি লাইভ শো থেকে তিনি ভক্তদের একটি বিশেষ জিনিস নিয়ে সচেতন করেন। ভক্তদের উদ্দেশ্যে একপ্রকার কাতর আবেদন করে বলেন, 'দয়া করে আপনারা কেউ গাঁজা খাবেন না। গাঁজার নেশার জন্যই আমার জীবনের মূল্যবান পাঁচটা বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে।' তিনি এদিন আরও বলেন, 'মদ খেতে ইচ্ছে করলে যত ইচ্ছে মদ খান। কিন্তু গাঁজা খাবেন না। এটার জন্যই আমার জীবন বরবাদ হয়ে গিয়েছে।' হানি সিংয়ের কথা এদিন বেশ স্পষ্টই বুঝিয়ে দেন তিনি তাঁর কাজে অনুতপ্ত। ভুল বুঝেছেন এবং সেটা বদলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। শুধু ভুল শুধরে নিচ্ছেন যে সেটা নয়, একই সঙ্গে তিনি কেরিয়ারটা আবার গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।