ভারতের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের পর বলিউড অভিনেতা সলমান খানের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিজ্যুয়াল𒐪গুলিতে 'সুলতান' অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে সুরক্ষা কর্মীদের দেখা গিয়েছে সাধারণ সময়ের থেকে আরও বেশি মাত্রায়। বান্দ্রার নির্মল নগরের কাছে গু♎লিবিদ্ধ হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকি। লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
শনিবার গভীর রাতে লীলাবতী হাসপাতালে গিয়ে সম🏅বে𒁏দনা জানান এবং গুলিবিদ্ধ সিদ্দিকি-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সলমন।
শনিবার গভীর রাতে পাপারাজ্জো ভিডিয়োতে সলমন খানকে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছাতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, সিদ্দিক খুন হওয়ার সময় তিনি ফিল্ম সিটিতে ছিলেন এবং বিগ বস উইকেন্ড কা ওয়ার-এর রবিবারের এপিসোডের শুটিং করছিলেন। সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শুটিং বাতিল করে হাসপাতালে পৌঁছে যান সল♏মন।
বাবা সিদ্দিকি ৪৮ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল𒀰েন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে বান্দ্রা পশ্চিমের বিধায়ক হিসাবে দায়ি🎃ত্ব পালন করেছিলেন। চলতি বছরের গোড়ায় অজিত পাওয়ারের দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন তিনি।
তবে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন না বাবা সিদ্দিকি। বরং, বলিউড তারকাদের সঙ্গেও ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সিদ্ౠদিক ঈদের আগে বার্ষিক ইফতার পার্টির আয়োজ💖ন করতেন, যেখানে বসত তারকাদের মেলা। এরকমই এক পার্টিতে, ২০১৩ সালে শাহরুখ ও সলমনের মধ্যে চলা বহুদিনের ঝগড়ার অবসান ঘটিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা গুলিয়ে চালিয়ে হত্যা করে বাবা সিদ্দিকিকে। ঘটনার 🌞সময় তিনি বান্দ্রায় তাঁর ছেলে জিশানের অফিসের বাইরেই ছিলেন এবং তাঁকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান। ইতিধ্যেই সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক। ধৃতদের নাম হরিয়ানার বাসিন্দা গুরমেইল সিং ও উত্তরপ্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলার তদন্ত করছে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, তারা গুলি চালানোর জন্য একটি ৯.৯ এমএম পিস্তল ব্যবহার করেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ঘোষণা করেন, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সিদ্দিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও) অনুসারে, সিদ্দিককে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হবে কারণ তিনি ২০০৪-২০০৮ সালে মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএইচএডিএ) চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব প🌃ালন ক𝓰রেছিলেন।