ফাটল ধরেছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত সেনগুপ্তর ১৩ বছরের সংসারে, জুন মাসেই শুরুতেই এই গুঞ্জন সামনে এসেছিল। সেই সময় যদিও এই গুঞ্জনকে নেহাত রটনা বলেই দাবি করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু কথায় আছেন না যা রটে তার কিছু তো বটে! এই প্রবাদ একের পর এক মিলে যাচ্ছে। সম্প্রতি দুই তারকার সোশ্যাল মিডিয়ায় বারে বারে উঠে এসেছে ভাঙা দাম্পত্যের ঝলক। আপাতত দু'জনে যে আলাদা থাকছেন, সেটা গত মাসেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছে ইন্দ্রনীলকে ইনস্টা থেকে আনফলো করে দিয়েছেন বরখা। এবার পালটা বরখাকে আনফলো করলেন ইন্দ্রনীল।এক ছাদের তলায় না থাকলেও এতদিন স্ত্রীকে ফলো অন্তত করতেন ইন্দ্রনীল, এবার সেই চিহ্নও মুছে দিলেন। যদিও এখনও ইন্দ্রনীলের ইনস্টাগ্রামের ডিসপ্লে পিকচারে বরখা আর তাঁর প্রেমেমাখা ছবিই রয়েছে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল ঘাঁটলেও খোঁজ মিলবে বরখার অসংখ্য ছবির, কিন্তু চলতি বছর মার্চেই শেষবার বরখার ছবি পোস্ট করেছেন ইন্দ্রনীল। তারপর থেকেই আচমকা বরখাহীন ইন্দ্রনীল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল হওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে টলি অভিনেত্রী ইশা সাহার নাম। আর এই চর্চিত প্রেম কাহিনির শুরুটা মাস ছয়েক আগে। সেইসময় ‘তরুলতার ভূত’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন ইন্দ্রনীল, বিপীরতে অবশ্যই ইশা সাহা। খবর, শ্যুটিং সেটে দুজনের বন্ধুত্ব নাকি বেশ গাঢ় হয়ে উঠেছিল। যদিও এই খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ইশা।গত মার্চে ১৩তম বিবাহবার্ষিকীতে ইন্দ্রনীলের উদ্দেশে শুভেচ্ছা পোস্ট করেছিলেন বরখা, এরপর আশ্চর্যজনকভাবে বরখার প্রোফাইল ইন্দ্রনীলহীন। যদিও দুজনেই চুটিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন তাঁদের নয়নের মণি, একমাত্র সন্তান মাইরা সঙ্গে।বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে দিনকয়েক আগেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি স্টেটাস শেয়ার করেছিলেন বরখা, সেখানে লেখা ছিল- ‘তুমি বেশি ভালোবাসে বেশি কষ্ট পাবে? নাকি, কম ভালোবেসে কম কষ্ট! এখন এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন।’ ইন্দ্রনীল-বরখার প্রেমের শুরু 'পেয়ার কা দো নাম এক রাধা এক শ্যাম' ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করার সময়। আলাপ থেকে কীভাবে যে প্রেমে পড়েছিলেন তা নিজেরাও জানেন না, বহুবার সেকথা নিজেদের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০০৮-র ১ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। রিসেপশন পার্টি হয়েছিল ওই বছরই ৩০ মার্চ। ২০১১-র অক্টোবর ইন্দ্রনীল ও বরখার জীবনে আসে তাঁদের মেয়ে মাইরা।