২০০০ সালে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-ছবির হাত ধরে একই সঙ্গে বলিউডে পা রেখেছিলেন হৃত্বিক রোশন এবং আমিশা প্যাটেল। ছবিটি ছিল ব্ﷺলকবাস্টার। আর 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'-এর ঠিক পরপরই ২০০১-এ মুক্তি পেয়েছিল সানি-আমিশার 'গদর: এক প্রেম কথা'। সেটিও সুপার হিট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেছেন ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়-এর সাফল্যের পর দেশের জন💯তা হৃত্বিককে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবেই দেখতেন। মানুষের কাছে হৃত্বিকের স্থান ছিল প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পরেই।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিশা প্যাটেল বলেন, ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়-এর পরপরই, আমি দেশের সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি… সুরাজ বরজাতিয়া, সুভাষ ঘাই, যশ রাজ ফিল্মস… তবে আমার আর কোনও ছবিই সেভাবে সফলতা পায় নি। একদিন এটা নিয়ে আমি সেটে আলোচনাও করছিলা🍬ম। একটা শুক্রবার (কহো না প্যায়ার হ্যায় মুক্তির পর) এদেশের মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পরেই সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন হৃতিক রোশন। আবার তারপরেই লোকজনের আর হৃত্বিকের ছবি ভালো লাগছে না। এটা কি ধরনের পৃথিবী? আমি মনে করি ,হৃতিক একজন ডেমি-গড, উনি বলিউডের গ্রিক গড, তিনি সর্বকালের জন্য একজন সুপারস্টার। ভাল♊ো প্রতিভাকে কখনই নড়বড়ে করা যায় না।’
আমিশার কথায়, ‘যে মানুষ হৃত্বিককে মাথায় তুলেছিলেন, তাঁরাই যখন তাঁকে পায়ের নিচে নামালেন, তখন খু🐼ব খারাপ লেগেছিল। প্রায় তিন বছর পর যখন রাকেশ চাচা কোয়ি মিল গ্যয়া-র কথা ঘোষণা করেলেন, তখন মনে হয়েছিল, এবার ও ফিরবে। ’
স্মৃতিচারণায় ফিরে আমিশা আরও বলেন, ‘আমরা তখন আপ মুঝে আচ্ছে লগনে লগের শ্যুট শুরু করব এবং আমদের কথা হত। ওর (হৃত্বিক) একটা ছবি (ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ) ফ্লপ হওয়ার একদিন পর আমরা সেটে শুটিং করেছিলাম। তখন ও ভীষণই বিরক্ত ছিল। আমাদের প্রথম ছবি❀টা এত বড় হিট ছিল, আর এরপরই যদি বিফলতা আসে তাহলে সেটা আরও বেশি আঘাত লাগে। হৃত্বিক আমাকে বলছিলেন, আমি♛শা, তুমি তো দ্বিতীয় হিট ছবি গদর-ও দিয়ে দিয়েছ, আর আমি তো শুধুই ফ্লপ দিতে শুরু করেছি। আমি তখন ওকে বলেছিলাম চিন্তা কোরও না, আবারও সময় ঘুরবে। এরপর কোই… মিল গ্যয়া মুক্তির আগে আমার টেনশন হচ্ছিল, যদি এটাও লোকে না দেখে তাহলে কী হবে!’
আমিশা জানান,তিনি সম্প্রতিও হৃতিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাকেশ রোশনও তাঁকে গদর ২ এর সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি সুন্দর মেসে🙈জ পাঠিয়েছেন।