অভিনেতা-মডেল নাতাশা স্ট্যানকোভিচ ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সার্বিয়ায় তাঁর ছেলে অগস্ত্যের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বিচ্ছেদের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রাক্তন এই দম্পতিকে ঘিরে ছ♛িল আলোকবৃত্ত। বিচ্ছেদ ঘোষণার পরও নাতাশা-হার্দিকের জীবন নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কেমন আছেন তাঁরা? কী করছেন? কীভাবে কাটছে তাঁদের সময়? তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।
এর মধ্যেই এক﷽জন রেডডিট ব্যবহারকারী প্রকাশ করেছেন যে নাতাশা প্রতারণা এবং মানসিক নির্যাতন বিষয়ভিত্তিক রিলে বেশি করে 🏅লাইক দিয়েছেন। ওই ব্যবহারকারী নাতাশার লাইক করা রিলগুলির স্ক্রিনশটও ভাগ করেছেন। দেখা গিয়েছে সেই সব রিলের বেশির ভাগেই সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগ এবং মানসিক নির্যাতন নিয়ে নানা কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিন্দি ‘সা রে গা মা🐓 পা’-এর নতুন সিজনে বিরাট চকম! কী কী থাকছে রইল তালিকা
এর মধ্যে একটি রিলের ক্যাপশনে লেখা, 'সেযব পুরুষ নিজের স্ত্রী বাদে বাকি মেয়েদের বিনোদনের কারণ হয়ে ওঠেন। স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রতারণা করতেও দু'বার ভাবে না। তাঁদের স্ত্রীরা তাঁদের জন্য যথেষ্ট নয়❀। সেই সব পুরুষদের সঙ্গে কোনও মহিলাই সারাজীবন থাকার কথা ভাবতে পারবেন না।'🦩 আর একটি রিলের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে 'একজন প্রতারকের গুণাবলী' তালিকাভুক্ত করা হল, আপনি তাঁকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করেন কিন্তু সে আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আপনার ভরসা নিয়ে খেলা করেছে, যা সত্যি হৃদয়বিদারক। তাঁদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য তাঁদের কিছু গুণাবলী এবং আচরণ এখানে তালিকাভুক্ত করে দেওয়া হল। এগুলি সব প্রতারকদের লক্ষণ। চোখ খোলা রাখুন!'
আরও পড়ুন: পরপর ফ্লপ ছব🗹ি! অবসর নিয়ে বড় সিদ্ধান্🌳তের কথা জানালেন আমির খান
এই পোস্টটি দেখে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। তাঁরা নাতাশার হয়ে নানা কথা বলেছেন। একজন লিখ𒅌েছেন, 'সকলে হার্♈দিককে পছন্দ করে আর তাই নাতাশারই দোষ দেখে। আসলে লোকজন মহিলাদের দোষ দিতে বেশি পছন্দ করে। অনেকে তো নাতাশাকে গোল্ড ডিগার বলেও ডাকছেন, যদিও সে আগে থেকেই যথেষ্ট ধনী।' আরেকজন লিখেছেন, 'কেউ একবার বলেছিলেন, আমাদের দেশের মানুষ নারীদের দোষ দিতে ভালোবাসে!'
নাতাসা স্ট্যানকোভিচ, হার্দিক পান্ডিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু হয়, তারপর জুলাইয়ের শেষের দিকে তাঁরা একটি সমবেত পোস্ট করে জানান যে তাঁরা আলাদা হচ্ছেন। বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে তাঁদের। হার্দিক লেখেন, ‘চার বছর একসঙ্গে থাকার পর আ𝔉মি ও নাতাশা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, নিজেদের সবটা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে দুজনജের জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আনন্দ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাহচর্য আমরা একসঙ্গে উপভোগ করেছি এবং একটি পরিবার হিসাবে বেড়ে উঠেছি, এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। অগস্ত্য আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে আমাদের দুজনের জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এবং আমরা তার সুখের জন্য যা কিছু করতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সেটা অভিভাবক হিসাবে যৌথভাবে চেষ্টা করব।’
তাঁদের বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই নাতাশা তাঁর নিজ শহর ⛄সার্বিয়ায় চলে যান। বর্তমানে সেখানেই অগস্ত্যের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। ছেলের সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের ছবি নাতাশা ভাগ করে নেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। উল্লেখ্য তিনি ২০২ সালের ৩১ মে হার্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। হিন্দু এবং খ্রিস্টান উভয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।