এবার পুজো ‘ইকলাখি’ দেব ভক্তদের জন্য। সৃজিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে দীর্ঘ ৭ বছর পর রুপোলি পর্দায় দেব। বাকিদের ‘টেক্কা’ দেবেন নায়ক, আশা সবার। আপতত কোমর বেঁধে ছবির প্রচার ব্যস্ত টলি তারকা। ইন্ডস্ট্রিতে দেব এখন সাবালক। সুপারস্টার দেব এখন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সিনিয়র অভিনেতা। আরও পড়𒁏ুন-দেবকে দেখে ‘চোখে জল’ শুভশ্রীর! প্রেমের ‘সিল✨সিলা’ নিয়ে প্রশ্ন কুণালের, কী জবাব দিলেন নায়ক?
সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছে টলিপাড়া। কখনও যৌন হেনস্থার অভিযোগ, তো কখনও কর্মক্ষেত্রে থ্রেট কালচার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন! ফেডারেশন-ডিরেক্টর্স গিল্ডের দ্বন্দ্ব, কলাকুশলীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর অভিযোগ থেকে কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা- অভিযജোগের ফিরিস্তি লম্বা। টেক্কার প্রচারে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এইসব নিয়ে মুখ খুললেন দেব।
মাস খানেক আগে♍ রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবির শ্যুটিং নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে জটিলতা তৈরি হলে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন প্রসেনজিৎ-দেবরা। ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। সেইসময় জট থাকলেও টলিউডের চাপা দ্বন্দ্ব রয়েই গেছে। অভিযোগ অস্বীকারের জায়গা নেই। কিন্তু সমাধানের পথ কোথায়? সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকার নায়ক জানান, ইতিবাচকভাবে ভাবলে এটা থেকেই স্পষ্ট ইন্ডাস্ট্রি বড় হচ্ছে। দেব জানান, ‘সব ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতি হয়। এটা আদতে ইকোসিস্টেমের লড়াই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ইস্যুগুলো অনেক লঘু। এখানে আসলে ইগোর লড়াই। বুম্বাদা আর আমার সবসময়ে প্রচেষ্টা থাকে যাতে সবাই যেন একজোটভাবে থাকতে পারে। আমার একটাই বক্তব্য, কারও পেটে লাথি মেরো না।’
দেব এখন শুধু অভিনেতা নন, প্রযোজকও। তাই সবার কথা মাথায় রেখেই পা ফেলতে হয় তাঁকে। তিনি মনে করালেন ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে কাজ ক𝐆রতে গেলে কিছু নিয়ম সকলকেই মানতে হবে। স♐েটা সবার কর্তব্য।
সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় সমস্যার মুখে পড়েছে টলিউড। গ্রামে-মফস্বলে বাংলা ছবির ব্যবসা কমেছে। সুপারস্টার তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেবের বিশ্বাস, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলাতে হবে সকলকে। সিঙ্গলস্ক্রিনের মালিকানা ভাগ হওয়ার জেরেই সিঙ্গল স্ক্রিনের অস্তিত্ব সংকটে। কারণ নতুন প্রজন্মকে সিনেমাকে প্যাশন♏ ভেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নয়।
আরও পড়ুন-খাকি উর্দিতে দাবাং অবতার! টেক্কার ক্লাইম্যাক্স নিয়ে বড় খোলসা সৃজꦬিতের
টেক্কা প্রসঙ্গে
এক মাস কাজ করেই জমাদারের চাকরি হারিয়েছে ইকলাখ (দেব)। 🌠সেই চাকরি ফিরে পেতে এক স্কুলছাত্রীকে (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে) কিডন্যাপ করে সে। সেই খুদেকে উদ্ধারের দায়িত্ব পরে কলকাতা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার রুক্মিণীর হাতে। কোনওভাবেই আপোসের রাস্তায় যেতে রাজি নয় ইকলাখ, তার একটাই ডিম্যান্ড- ‘আমার চাকরিটা চাই’।