আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩🌳। আজ থেকে ঠিক একবছর আগে ২০২২-এও এই দিনটা অন্যরকম ছিল বহরমপুরের শর্মা পরিবারের কাছে। মনে হয় এই তো সেদিন, ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলার জন্য সেলিব্রেট করেছিলেন শিখা শর্মা, উত্তম শর্মা ও দিদি ঐশ্বর্য, সঙ্গে সব্যসাচী তো ছিলেনই…। সেবারও ভীষণই হাসিখুশি কেটেছিল দিনটা। কেক কেটে, খাওয়াদাওয়া করে বাড়়ি হৈহৈ করে সকলের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তখনও কে-ই বা জানত, বছর ঘুরতে না ঘুরতে ছবিটা বদলে যাবে। সুন্দর উজ্জ্বল এই দ🐼িনটা চোখের জলে ঝাপসা হয়ে উঠবে…।
বেঁচে থাকলে আজ ঐন্দ্রিলার ২৫ বছর হত। হ্যাঁ, আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার ঐন্দ্রিলার শর্মার প্রথম জন্মবার্ষিকী। বাড়ির ছোটমেয়ে ঐন্দ্রিলা আজ কাছে নেই, তবে স্মৃতিতে তাঁকে দিব্যি আগের মতোই উজ্জ্বল করে রেখেছেন তাঁর বাবা-মা, দ♑িদি ও মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী। শুধু পরিবার-ই নয় রয়েছেন অনুরাগীরা। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ফ্যান ক্লাবগুলির তরফে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একের🌄 পর এক ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘কেক নিয়ে অপেক্ষা করছি, এসো প্লিজ…’। নাহ ঐন্দ্রিলা আসেননি, উত্তরও মেলেনি। অপেক্ষাই যে বৃথা…।
ছোট্ট বনু স্মৃতিতে ভরিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন চিকিৎসক দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। লিখেছেন 'Happy Birthday Bonu'। ভিডিয়োতে রয়েছে গতবার ঐন্দ্রিলার জন্মদিন সেলিব্রেশনের মুহূর্ত। হলুদ কুর্তি পরে একপাশে প্রিয় দিদি, অন্যপাশে সব্যসাচীকে নিয়ে কেক কেটেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সামনে ছিলেন ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মাও। দেখা গেল ঐন্দ্রিলার আদরের পোষ্যটিকেও। আর ভিডিয়ো করছিলেন মা শিখা শর্মা। কেক কেটে প্রথমে বাবা, তারপর দিদি, পরে ‘সব্য’কে খাইয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দ্বিতীয় কেটি কাটার পর দিদি ﷺঐশ্বর্য যখন বোনুর গালে কেক মাখাতে গেলেন, ঐন্দ্রিলাকে বলে উঠতে শোনা গেল 'আরে নাহ দিদিভাই…।' পরে যদিও চুমু খাওয়ার নামে ঐন্দ্রিলার গালে কেক মাখিয়ে তবে ছেড়েছিলেন ঐশ্বর্য। পরে ঐন্দ্রিলাও তাঁর দিদিভাইকে কেক মাখিয়ে ছিলেন, লাগিয়েছিলেন সব্যসাচীর গালেও। নাহ, এবার আর বোনু নেই, চাইলেও তাঁকে কেক মাখিয়ে, তাঁর সঙ্গে খুনসুটি করতে পারবেন না ঐশ্বর্য শর্মা। তবে শুধু গত বারের নয়, ঐশ্বর্যর ভিডিয়োতে রয়েছে গত বেশ কয়েক বছরের ঐন্দ্রিলার জন্মদিন সেলিব্রেশনের মুহূর্ত…।
ঐন্দ্রিলা নেই, তবে ছোটমেয়ে🌟র স্মৃতি আঁকড়ে কলকাতার ফ্ল্যাটে এদিন একাই কাটাচ্ছেন মা শিখা শর্মা। ঐন্দ্রিলার বাবা বহরমপুরের বাড়িতে, দিদি দিল্লিতে, তবে তিনি যে মা, তাই মেয়ের টানে ছুটে এসেছেন তাঁর প্রথম জন্মবার্ষিকীতে। আ🌠সতে পারেননি 'ঐন্দ্রিলার সব্যও', অভিনেতারও ভীষণ জ্বর এসেছে।