১৯৯৪ সালে 'বিশ্ব সুন্দরী'-র খেতাব জিতে রাতা🍒রাতি খ্যাতির লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন ঐশ্বর্য রাই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঐশ্বর্যর তিন দশক পুরোনো এক বিজ্ঞাপন। তখনও মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব তাঁর মাথায় উঠেনি, অভিনয় কেরিয়ার তো দূর অস্ত! ১৯৯৩ সালে শ্যুট করা এক ঠাণ্ডা পানীয়র সেই বিজ্ঞাপনে সুপারস্টার আমির খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন ঐশ্বর্য, শুধু তাই নয় অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীও ছিলেন এই বিজ্ঞাপনের অংশ। এই বিজ্ঞাপন সেই সময় এতটাই হইচই ফেলেছিল যে ঐশ্বর্যর চরিত্র সঞ্জনার নামে মেয়েদের নাম রেখেছিল বাবা-মায়েরা।
ভিডিয়োয় আমির খানকে একাকী বাড়িতে দাবা খেলতে দেখা গিয়েছে। দরজায় বেল বাজতেই আমির দ💞েখেন তাঁর সুন্দরী প্রতিবেশী মহিমা চৌধুরীকে। প্রতিবেশীর আবদার এক বোতল পেপসি খাওয়াতে হবে। তাঁর মন জিততে ঝমঝমে বৃষ্টি মাথ🅺ায় নিয়েই দৌড়ালেন আমির। শেষমেষ মহিমার সাধ পূরণও করলেন। এরপর যখন তিনি সবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তখন ফের দরজায় কেউ কড়া নাড়ল। মহিমা বলে ফেললন, ‘এটা নিশ্চয় সঞ্জু’। ওমনি এন্ট্রি নিলেন ঐশ্বর্য। আর আমিরের দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন- ‘হাই, আমি সঞ্জনা, আরেক বোতল পেপসি হবে?’
ঐশ্বর্যর অসম্ভব সৌন্দর্যে চোখ আটকে গেল এই প্রজন্মেরও। আসলে নীল নয়না সুন্দরীর রূপের জাদুতে গত তিন দশক ধরে বুঁদ গোটা বিশ্ব। আক্ষরিক অর♏্থেই তিনি বিশ্ব সুন্দরী। একজন লেখেন- ‘মাত্র ৩ সেকেন্ডেই সব লাইমলাইট কে♚ড়ে নিতে পারেন একমাত্র ঐশ্বর্যই’। অপর একজন লেখেন- ‘এই বিজ্ঞাপনটার জন্যই আমার নাম সঞ্জনা’।
মিসཧ ইন্ডিয়া প্রতিযো🌠গিতায় অংশ নেওয়ার আগেই মডেলিং দুনিয়ার পরিচিত নাম ছিলেন ঐশ্বর্য। সকলেই নিশ্চিত ছিল প্রতিযোগিতা জিতবেন ঐশ্বর্যই, যদিও শেষ মুহূর্তে বঙ্গতনয়া সুস্মিতা সেনের কাছে উনিশ-বিশের ফারাকে হেরে যান অ্যাশ। কিন্তু মিস ওয়ার্ল্ডের আসরে বাজিমাত করেন তিনি। বিশ্ব সুন্দরীর তাজ জয়ের পর রাতারাতি গোটা দেশের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন ঐশ্বর্য।'ইরুভার' ছবির সঙ্গে অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এই সুন্দরী, বলিউডে তাঁর জার্নি শুরু ‘অউর প্যায়ার হো গায়া’ ছবির সঙ্গে।
আগামিতে ঐশ্বর্যকে দেখা যাবে মণিরত্নমের ‘পোন্নিয়ান সেলভান’ (Ponniyin Selvan) ছবিতে। মণিরত্নম পরিচালিত এই তামিল ছবির প্রধান চরিত্র নন্দিনী। ছবিতে নন্দিনী এবং তার মা মন্দাকিনী দেবী, দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য। তামিল লেখক কল্কি কৃষ্ণমূর্তির ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘পোন্নিয়ান সেলভান’ (Ponniyin Selvan) অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। ছবির প্রেক্ষাপট দশম শতাব্দীর চোল সাম্রাজ্যের সূচনাকাল। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের ফলে সম্রাটের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের সম্পর্কে ফাটল ধরে-সেই গল্পই এখানে উঠে আসবে। চলতি বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর হিন্দি, তামিল,তেলুগু, মালায়💛ালাম এবং কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি।