'মির্জাপুর' থেকে 'রে' সবেতেই রয়েছেন আলি ফজল। বর্তমানে সময়টা দুর্দান্ত যাচ্ছে তাঁর। তবে সম্প্রতি নিজের জীবনের বেশ কিছু ঘটনা ফাঁস করেছেন এই বলি-অভিনেতা। সঙ্গে জানিয়েছেন যা ভুলে যেতে পারলেই সবথেকে নিশ্চিন্ত হতে পারতেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কথা চলাকালীন বলি-অভিনেতা জানান একবার প্রচন্ড রাগের চোটে একটি বাচ্চা ছেলের হাত থেকে ফোন𓆉 কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে দিয়েছিলেন!
২০১৮-য় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হয়েছিল বহুল জনপ্রিয় 😼'মির্জাপুর'-এর সিজন ১। ওই সিজনে 'গোবিন্দ পন্ডিত' ওরফে 'গুড্ডু ভাই' এর চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সুখ্যাতি অর্জন করেন আলি। করণ অংশুমান পরিচালিত এই ক্রাইম থ্রিলারে আলি ফজল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছ﷽িল পঙ্কজ ত্রিপাঠি, দিব্যেন্দু শর্মা, বিক্রান্ত মাসে, রাসিকা দুগ্গলদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
জনপ্রিয় আর জে সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার চলাকালীন আলিকে জিজ্ঞেস করা হয় এমন কোনও স্মৃতি আছে কি না তাঁর ভাণ্ডারে যা তিনি ভুলে যেতে চান। জবাবে আলি জানান যে হ্যাঁ এরকম স্মৃতি তাঁর রয়েছে। সামান্য সময় নিয়ে 'রে'-এর অভিনেতা বলা শুরু করেন,'মির্জাপুর ১-এর শুটিংয়ের সময় প্রচন্ড খিটখিটে হয়ে থাকতাম আমি। সকালবেলা ঘন্টা তিনেক ধরে ব্যায়াম করতাম। তারপর চলত টানা ১৪ ঘন্টার শুটিং। এরপর সবমিলিয়ে হাতে যতটুকু সময় পড়ে থাকত তাতে ঠিক করে ঘুমোতে পর্যন্ত পারতাম না। ফ্লেস্বাভাবিকভাবেই মেজাজ খ🎀িঁচড়ে থাকত বেশিরভাগ সময়।' তা ওই রাগ কী মানুষদের ওপর উগরে দিতেন অভিনেতা? জবাবে না বলে আলির জবাব ছিল, 'স্রেফ জিনিস্পরের ওপর!'
অবশ্য খানিকক্ষণ থেমে 'গুড্ডু ভাই' জানান কেবল একবারই রাগের চোটে সেইসময় প্রচন্ড এক অন্যায় করে ফেলেছিলেন তিনি। আলির কথায়, 'খুব ছোট্ট এক জায়গায় মির্জাপুরের শুটিং চলছিল। স্বাভাবিকভাবেই শুটিং দেখতে মানুষজন ভিড় জমাট। তো একবার শুটিং চলার ফাঁকে একটি বাচ্চা ছেলে তাঁর ফোন বের করে রেকর্ডিং🗹 করে যাচ্ছিল। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সে থামেনি। বলেওছিলাম শুটিং শেষে তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলব। একথায় কাজ তো কোনও হয়ইনি, উল্টে পিছন পিছন চলা শুরু করেছিল সে। ফোন বন্ধ করেনি একমুহূর্তের জন্যেও। এরপর আর রাগ সামলাতে পারিনি। ছেলেটার হাত থেকে ফোনটা কেড়ে তা মাটিতে বাচ্চার ফেলি। মুহূর্তে ভেঙে যায় সেটি। অবশ্য তারপরেও বুঝতে পারি মোটেই ঠিক কাজ করিনি। একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। তবে এরই পরেই আর দেরি না করে ঝাঁ চকচকে একটি নতুন ফোন কিনে নিয়ে ওই ছেলেটিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলাম।'