রাজকুমার সন্তোষীর আসন্ন ছবি 'লাহোর ১৯৪৭' এখন বলিউডের চর্চিত ছবিগুলির মধ্যে একটি। প্রীতিꦗ জিন্টা, শাবানা আজমি, অভিমন্যু সিং, এবং মোনা সিং-এর পাশাপাশি সানি দেওলকে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে এই সিনেমায়। এবার সামনে এল নতুন একটি নাম, বলিউডে হাতে গোনা ছবিতে কাজ করেও যে নিজের জায়গা করে ফেলেছে। এমনকী কিছুদিন আগে সে বাবা হতে চলার খবরও জানিয়েছে।
'লাহোর ১৯৪৭'-এ থাকছেন আলি ফজল, যাকে সিনেমায় একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। আলি অত্যন্ত জনপ্রি♛য় ওয়েব সিরিজ 'মির্জাপুর'-এ আইকনিক চরিত্র গুড্ডু ভাইয়ার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। উপরন্তু, 'ফুকরে' ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জাফর ভাই হিসেবে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছেন। 'লাহোর ১৯৪৭'-এ অলির নাম ঘোষণা হওয়ায় তাই নিসন্দেহে ছবি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়াবে।
'লাহোর ১৯৪৭' আমির খান, সানি দেওল এবং রাজকুমার সন্তোষীর প্রথম সহযোগিতাকে চিহ্নিত করে। সন্তোষী যখন সানি দেওলকে মুখ্য চরিত্রে নিয়ে💃 ছবিটি পরিচালনা করবেন, আমির খান সেখানে প্রযোজক। একাধিক সূত্রের দা꧃বি, অতিথি শিল্পী হিসেবে মুখ দেখাতে পারেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। যদিও এই বিষয়ে কোনও অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট হয়নি।
গদর ২-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর 'লাহোর ১৯৪৭'-ই হবে সানির প্রথম কাজ। এছাড়াও একাধিক প্রোজেক্টে তাঁর নাম উঠে এলেও, অভিনেতার তরফে কেমবলমাত্র এটিকেই শিলমোহরไ দেওয়া হয়েছে। বলেন, ‘গদর বেরনোর পর থেকেই এটা চলছে। এই পার্ট টু করছে, ওই পার্ট টু করছে। আরে বাবা কত পার্ট টু করব! বাজারে যা চলছে বেশিরভাগই গুজব। আমি নিজেই ঘোষণা দেব। মানুষ আসলে জল্পনা কল্পনা করতে পছন্দ করে। তবে লাহোর ১৯৪৭ করছি।’
এদিকে আবার লাহোর ১৯৪৭ পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর ২ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে জামনগরের নগর দায়ಞরা আদালত। কোটি টাকার চেক বাউন্সের মামলায় এই শাস্তি। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শ্যুটিং শুরু হয়েছে আমির খানের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবির। এমন অবস্থায় সন্তোষীকে জেলে যেতে হলে, ছবির কাজে নেমে আসবে বড় বিপত্তি!
আলি ফজলের বাবা হওয়ার ঘোষণা:
২০২২ সালে বিয়ে করেন আলি ফজল ও রিচা চাড্ডা। দেখা হয়েছিল তাঁদের ফুকরে-র সেটে। ফে꧙ব্রুয়ারি মাসেই এই দম্পতি জানায় তাঁরা সন্তান সম্ভবা। নিজ নিজ ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি যৌথ পোস্ট শেয়ার করেন। প্রথম ছবিতে ছিল একটি সমীকরণ: 1 + 1 = 3। দ্বিতীয় ছবিটিতে তাঁরা একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, ‘একটি ক্ষুদ্র হার্টবিট আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে জোরালো শব্দ।’