বয়স ১ বছর ৭ মাস, নাম তাঁর রাহা। এই মুহূর্তের কাপুর বাড়ির নয়নের মণি সে। রণ💛বীর-আলিয়ার জীবনের ‘পরী’। মেয়েকে নিজেদের মনের মতো করে বড় করছেন রণবীর𒐪-আলিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি নিজেও যেগুলো ছোটবেড়ায় করেননি, এখন সেগুলোই মেয়ে রাহার জন্য করছেন। আলিয়ার কথায়, একটা কাজ তিনি এবং রণবীর নিয়ম করে আলিয়ার জন্য অবশ্যই করেন, সেটা হল বই পড়ে শোনানো, তা সে যতই ব্যস্ততা থাক।
আলিয়ার কথায়, 'জীবꦚন পু🐠রোপুরি গোলাকার হয়ে আসে কারণ যে সমস্ত বই আমি ছোটবেলায় পড়িনি, এখন আমি সেগুলোই রাহার মা হিসাবে পড়ছি।' আলিয়া বলেন, ‘ও (রাহা) সবসময় আমার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে, এ কারণেই আমি নিজের প্রকাশ করা বইটিও ওকেই উৎসর্গ করেছি। আর আমি জীবনে যা কিছু করব তাতে সবসময় ওর ইঙ্গিত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, নিজের 'ব্র্যান্ড এড-আ-মাম্মা' থেকওে 'এড ফাইন্ডস অ্যা হোম' নামে একটা ছড়ার বই প্রকাশ করেছেন আলিয়া। আর সেই বই নিজের মেয়ে রাহাকেই উৎসর্গ করেছেন রণবীর ঘরনী।
রাহা ও বই
মেয়ের কথা উঠতেই আলিয়া বলেন, ‘রাহা প্রতি মুহূর্তে বই-এর🍬 প্রতি আসক্ত। ও বই খুবই ভালোবাসে।’ আলিয়া বলেন, ‘আমি ওকে (রাহাকে) ১টা কি ২টো বই পড়ে শোনাই ... কখনও কখনও আমরা (আলিয়া ও রণবী) প্রতিদিন রাতে ওকে একাধিক বই পড়ে শোনাই। এটাই এখন আমার আর রণবীরের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক রাতও মিস হয়না। মাঝে মাঝে দুপুরেও বই পড়ে ওকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিই। এটাই আমাদের এখন রুটিন’
বইয়ের প্রতি রাহার ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে আলিয়া বলেন, ‘আমি কিংবা রণবীর প্রতিদিন রাতের ওকে বই পড়ে শোনাই। আমরা বই পড়তে পড়তেই♏ রাহা ঘুমিয়ে পড়ে। ও বই এতটাই ভালোবা𝐆সে যে ঘুমানোর সময় বই জড়িয়ে ধরে ঘুমোয়।’
উচ্ছ্বসিত আলিয়ার কথায়, ‘এটাই বইয়ের শক্তি। বইয়ের মাধ্যমে শব্দ এবং কল্পনা শক্তির সঙ্গে শিশুর সংযোগ বাড়ে। আর এটাই আমায় ছোটদের বই প্রকাশ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।’ আলিয়া বলেন, ‘আমরা যখন এই বইটি মুদ্রণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন শিশু ও তাঁদের বাবা-মা বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখেই এটা বের করেছি। এই বই-এ একটা ছন্দ আছে, যা বেশ সুন্দর শোনায়, বাচ্চাদের কানে এটা আরও ভাল লাগে। আপনি নিজেও কখনও শ📖িশুকে বই পড়ে শোনাবেন দেখবেন ওরা আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়বে। কারণ মা হিসাবে আমিও এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। নিজেও বই পড়ছি। শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে বই প্রয়োজনীয়।’