২০০০ সালে ‘কহো না প্যয়র হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে ধামাকেদার ডেবিউ করেছিলেন আমিশ♚া পাটেল। সে ছবিতে আমিশার হিরো ছিলেন হৃতিক, তারও এটা প্রথম কাজই ছিল। অনেকেই হয়তো জানেন না, কহো না প্যয়র হ্যায় করার কথা ছিল প্রথমে করিনা কাপুরের। কিন্তু পরে তা আমিশার কাছে চলে যায়। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘গদর ২’-এর নায়িকা দাবি করলেন, সেট থেকে নাকি বের করে দেওয়া হয়েছিল করিনাকে।
আমিশা বলেন, ‘করিনা মোটেও কাজটা ছেড়ে দেয়নি। আমি রাকেশজির থেকে যা শুনেছি তা হল তাঁরা তাঁকে সিনেমা ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন, কারণ দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। পিঙ্কি আন্টি (হৃতিকের মা, রাকেশ রোশনের স্ত্রী) আমায় বলেছে তাঁরা চিন্তায় একপ্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন। কারণ সেটে কোটি কোটি ঢালা হয়ে গেছে। হৃতিকের প্রথম ছবি। আর ওদের ৩ দিনের মধ্যে সোনিয়াকে খুঁজে বের করতে হবে।’ আরও পড়ুন: ঘরে এই ৭টি গাছ লাগান, বর্ষায় রক্ষা💙 পান মশার উৎপাত ♊থেকে
‘এরপর এক বিয়েবাড়িতে রাকেশজি আমাকে দেখেন। শুনেছি সারা রাত উত্তেজনায় তিনি ঘুমোতে পারেননি। সারা রাত নাকি ভেবে গিয়েছেন. পেয়েছি আমি আমা♋র সোনিয়াকে পেয়েছি। দেখো ঠাকুর ও যেন হ্যাঁ করে। আমি যদিও ছবি সাইন🔯 করার সময় পিছনের এই গল্পগুলো জানতাম না।’, আরও বলেন আমিশা।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশনও জানিয়েছিলেন, ‘কহো না প্যয়ার হ্যায় থেকে করিনাকে বাদ দেওয়ার কারণ ওর মা ববিতা। সব ব্যাপারে নাক গলাত।’ আরও পড়ুন: বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়া♍লের নায়িকা, জন্মদিনে বন্ধুদ⭕ের মধ্যমণি, বলুন তো কে?
আর বহু বছর আগে ফিল্ম ফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা আবার বলেছিলেন, তিনি কহো না প্যয়ার হ্যায় থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় খুশি। কারণ বেশ কিছু দৃশ্যে আমিশার চোখের তলার কালি দেখা যাচ্ছিল। মুখের ব্রণও ফুটে উঠছিল স্ক্রিনে। তবে এই সিনেমা ছেড়ে দেওয়া তাঁর আর হৃতিকের সম্পর্কে কোনও খারাপ প্রভাব ফেলেনি। কারণ, এরপরের সময়ে তাঁরা পꦯরপর কাজ করে গিয়েছেন।
এই ✤সাক্ষাৎকারেই আমিশা জানান, কহো না প্যয়ার হ্যায় বা হামরাজের মতো হিট ছবি💧র সিক্যুয়েল হলে তিনি করতে রাজি। তবে হ্যা মানানসই স্ক্রিপট পেতে হবে ও নির্মাতাদের তা লিখতে হবে। আর যদি সব কিছু ঠিকঠাক করা যায়, তাহলে অবিলম্বে এই দুটো সিনেমার সিক্যুয়েল আনাই উচিত।