বেশকিছুদিন ধরেই চর্চায় ঋষি কৌশিক ও তাঁর স্ত্রী দেবযানী। স্ত্রীর নাম না করে একের পর এক অভিযোগ আনেন ঋষি কৌশিক। আর তারপরই তাঁর সঙ্গে স্ত্রী দেবযানীর বিচ্ছেদ জল্পনা তৈরি হয়। এরপর🧔 দেবযানী মুখ খুললে 💃সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়। দেবযানী চক্রবর্তী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা ঋষির অভিযোগে আইনি সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন।
তবে দেবযানী আইনের কথা বললেও ঋষি চুপ থাকেননি। এরপরও ত🅰িনি ফের একেরপর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করতেই থাকেন। রবিবার রাতে ফের একটা পোস্টে বেশকিছু প্রশ্ন তুললেন ঋষি কৌশিক। অভিনেতার প্রশ্ন, যাঁরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন, তাঁরা কি মানসিকভাবে অসুস্থ?' শুধু তাই নয়, নিজের পোস্টের সঙ্গে বেশকিছু ধর্মকে ধর্মীয় চিহ্নের মাধ্যমে তুলেও ধরেন অভিনে🎃তা।
ঠিক কী লিখেছেন ঋষি কৌশিক?
ঋষি লেখেন, ‘একজন মানুষ ভীষণ ভাবে নিজ ধর্মে বিশ্বাস করে এবং সেই মানুষটি সব ধর্মকে খুব শ্রদ্ধা করে।মানুষটি 🍸যদি অন্য কোন ধর্মের কিছু পবিত্র বাণী গুগল থেকে পড়ে তবে তাকে কি মানসিক রোগী বলা উচ𝓡িত ? যারা বলেন তারা কি নিজেরা আসলেই মানসিকভাবে সুস্থ ? নাকি অন্য ধর্মের পবিত্র বানী পড়া বা জানা পাপ? আর কেউ যদি পড়ে সে কি মানসিকভাবে অসুস্থ ? তোমাদের কি মনে হয় ? সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য রইলো আমার অশেষ শ্রদ্ধা।’
অভিনেতা ঋষি কৌশিক অবশ্য নিজের এই পোস্টে নেটপাড়ার অনেকেরই সমর্থন পেয়েছেন। তবে শুধু এই পোস্টই নয়, দুদিন আগে বিবেক-কে বেচে দেওয়ার নাম কꦦরে আরও একটা ইঙ্গিতপূর্ণ ꦓপোস্ট করেছিলেন ঋষি।
তিনি সেদিন লিখেছিলেন, ‘চোখ বিক্রি করে আমি এই শহরে এসেছি। চারদিকে তাই কাউকে দেখি না। পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আমি আর ভালো-মন্দ কিচ্ছু শুনি না। তবে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই শহরে। একজনকে বললাম, এই খারাপ লাগার কারণ কী? বললেন, বোকা ছেলে সব বিক্রি করেছো, বিবেকটা বিক্রি ন🔯া করলেতো এমন হবেই… এরপর এই শহরে আমি একজন ভালো ক্রেতা খুঁজꦏে বেড়াচ্ছি। কয়েকজনকে পেয়ে বললাম, একটা বিবেক ছিল। খুব কমে বেচতে চাই। নেবেন ভাই? বললেন, মাথা খারাপ ! আমরা এই মাত্রই নিজেদের বিবেকও বেচে দিয়ে এলাম।'
যদিও এই লেখার শেষে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর এই লেখাটা খুবই 🌸ভালো লেগেছিল, তাই শেয়ার করেছেন। লেখাটা সংগৃহীত।
প্রসঙ্গত, দিন ১০ আগে, ঋষি কৌশিক নাম না করেই ফেসবুকে লেখেন, ১২ বছরের বিবাহিত জীবনের একদম শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলেন, এই বিয়েটা করা ভুল হয়েছে। এমনকী, তিনি যে বিয়ে করতে চাননি, তাঁকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে, সেটাও বলে দিতে ভোলেননি। এরপর জানান, কীভাবে💝 তাঁর স্ত্রী ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্ত। এমনকী, লোকের কাছে লক্ষ্মীমন্ত বউ সেজে থাকলেও, অফিসের পরে বন্ধুদের নিয়ে পার্টিতে মজে থাকে। শুধু তাই নয়, স্বামী এবিষয়ে মুখ খুললে বাইরের লোকের কাছে স্ত্রী তাঁরে মানসিক অসুস্থ বলে প্রমাণ করার চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ঋষি।
আর অভিনেতা ঋষি কৌশিক🌃ের এই অভিযোগের পরই তাঁর দেবযানী চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদ জল্পনা ছড়িয়ে পড𓆏়েছিল।