বঙ্গের গাঁ ঘেষে বয়ে গেছে ঘুর্ജণিঝড় ইয়াস। কඣ্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। বিধ্বস্ত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে সহযোগিতার হাত থেকে নানা পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পাড়ার ছেলেরা। এবার তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানালেন সুদীপা।
সঞ্চালিকার কথায়, ‘ওরা কাজ করে। ওরা আমার পাড়ার ছেলেܫ। কখনো দৌড়ে যায়- ত্রান নিয়ে সুন্দꦺরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে। কখনো পুলিশকর্মীদের চা-বিস্কুট দিয়ে আনন্দ পায়। আমরা যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ‘অলস’, ‘self-centred’, ‘mobile addicted’ বলে সমালোচনা করি- ঠিক তখনই একা বেড়িয়ে পরে। কাজ করতে। মানুষের জন্য কাজ করতে। সকলকে অবাক করে -এরা মানুষের জন্য, কাজ করে। বিনা স্বার্থে। বিনা পারিশ্রমিকে। এরাই তো দেশের ভবিষ্যত।’।
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে তাঁদের কাজ করার ছবি সামাজিক মাধ্যমের পাতায় ভেসে উঠল সুদীপার। তাঁদের সম্পর্কে তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘না আছে কোনো রাজনৈতিক রঙ। না আছে কোনো স্বার্থসিদ্ধির প্রলোভন। সদ্য বাবাকে হারানো বুক্কা কিসের টানে, মায়ের চোখের জল মুছিয়েই- ছুট্টে যায়,আর্ত মানুষের সেবায়? ওরা শুধু দুর্▨গাপুজা করেনা। সারা বছর মানুষের সেবা করে। এর চেয়ে ভালো পুজো আর কিই বা হতে পারে? তাই ওদের পুজো স্বার্থক। ওরা আমার পাড়ার ছেলে’।
প্রসঙ্গত, এই দুর্যোদের দিনে বালিগঞ্জ ২১ পল্লীর তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা পুলিশকর্মীদের পাশে আছেন ৷ লকডাউন পরিস্থিতি যখন দোকানপাট বন্ধ সেই সময় কলকাতার রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের চা-বিস্কুট, জল-খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এই ক্𓂃লাব ৷ গোলপার্ক থেকে পার্ক সার্কাস এলাকা পর্যন্ত কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে এই কাজ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
পাড়ার ছেলেদের এই উদ্যোগকে কু🎉র্নিশ জানিয়েছেন সুদীপা। তাঁর মতে যে তরুণ প্রজন্মকে আমরা সমালোচনা করি, ঘোর বিপদের দিনে তাঁরাই ছুটে আসে সাহায্য করতে। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেও ভꦏোলেননি তিনি।