‘শতাব্দীর সেরা বিয়ে’র তকমা পেয়েছে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের উদযাপন। চার মাস ধরে চলেছে সেলিব্র💖েশন। ছেলের বিয়েতে ৫০০০ কোটি টাকা খরচ করেন মুকেশ আম্বানি। এই বিয়ে🎃, আম্বানিদের বৈভব নিয়ে চর্চা থামছে না। আম্বানির ছেলের রিসেপশনে বাঙালি তারকাদের যোগদান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই।
রাজনীতি, গ্ল্যামার জ🌌গৎ, ক্রীড়া জগতের তারকাদের মিলিয়ে দিলেন আম্বানি। লিউড থেকে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রিয়া সেন, রাইমা সেন, রুক্মিণী মৈত্র, নুসরত জাহান-যশ দাশগুপ্ত, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়রা হাজির ছিলেন বিয়ের আসরে। অবশ্য রুক্মিণী ব্যাতীত কাউকেই আম্বানি পরিবারের কাছে ঘেঁষতে দেখা যায়নি। কিন্তু বাংলা-যোগের এখানেই ইতি নয়।
অনন্ত-রাধিকার ‘শুভ আর্শীবাদ’-এর মেগা ইভেন্টের ক্রিয়েটিভ ভিস্যুয়াল ডিজাইনের দায়িত্বে ছিল✃েন কলকাতার ছেলে অনিকেত মিত্র। যে দায়িত্ব পাওয়াটা তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেদিন অনন্ত-রাধিকাকে আর্শীবাদ দিতে পৌঁছালেন, ওই দিন জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টার সেজেছিল অনিকেতের ভাবনায়।
ফেসবুকে অনিকেত ভাগ করে নেন তাঁর স্ট্রাগেলের কথা, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর এই মহাদায়িত্ব হাতে পাওয়ার নেপথ্যের কাহিনি। তিনি লেখেন, 'মুম্বইতে এসে প্রথমে ঠিক করেছিলাম এয়ারপোর্টেই রাত কাটাতে হবে। কাউকে চিনতাম না এ শহরে। একা একা সমুদ্রের ধারে বসে ঢেউ গুনেছি রাতের পর রাত। সেইখান থেকে পথচলা শুরু। গত কয়েকদিন ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের চোখ এই শহরে হতে চলা এক 'রাজকীয়' মহাবিবাহ উৎসবের দিকে। সেই অসাধারণ আয়োজনের সম্পুর্ণ 'শুভ আশীর্বাদ' অনুষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ ভিজ্যুয়াল ডিজাইনের দায়িত্ব পাওয়ার পর মনে হয়েছিল স্বপ্ন দেখছি। হ্যাঁ, সেই 💎দায়িত্ব আমাদের দিয়েছিলেন বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার বৈভবী মার্চেন্ট ও শ্রুতি মার্চেন্ট। এত বড় একটা দায়িত্ব কিভাবে সামলাবো প্রথমে বুঝতেই পারছিলাম না। আমি আর প্রিয়ম যেদিন প্রথম মুকেশ অম্বানি ও নীতা অম্বানির সঙ্গে দেখা করতে ওনাদের মুম্বইয়ের বাসভবন 'অ্যন্টিলিয়া' পৌঁছলাম তখন প্রায় রাত সাড়ে বারোটা বাজে। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সেই শুরু!'
তিনি যোগ করেন, 'আমার ও প্রিয়মের এতদিনের পরিশ্রম অবশেষে সফল। আমাদের দেশের প্রধান শঙ্করাচার্যদের সামনে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে, দেশবিদেশের অতিথিদের সামনে যখন আমাদের আঁকা ছবিগুলো বিখ্যা🌄ত সুরকার অজয় অতুলের সুরের তালে, ছন্দ মিলিয়ে ফুটে উঠছিল; বুঝতে পারছিলাম চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে।…. তার একটা অন্য কারণও আছে। যখন আমার আঁকা একটা বিশাল গনেশের ছবি ধীরে ধীরে পর্দায় থ্রিডি প্রোজেকশনে ফুটে উঠছে, দেখি শাহরুখ খান সেই দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে। ভদ্রলোক হাততালি দিচ্ছেন। আর কি চাই জীবনে।
তবে এখন ﷽আমরা দুজনে এসে বসেছি, সেই সমুদ্র তীরে। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছ𝓡ে। মুম্বই শহর দু'হাত ছড়িয়ে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে তাঁর বুকে। সত্যিই মায়ার শহর! ধন্যবাদ জীবন…'।
কলকাতার গভর্মেন্ট আর্ট কলেজ থেকে অনিকেতের পড়াশোনা করেছেন। কর্পোরেট জগতে ব্র্যান্ড ডিজাইনার হিসাবে কেরিয়ার শুরুর পর কনসেপ্ট ও স্টোরি বোর্ড আর্টিস্ট হিসাবে বহু নামী সংস্থ🐻ায় কাজ করেছেন♛। যশরাজ ফিল্মস, ধর্মা প্রোডাকশনের বড় বড় সংস্থায় কাজ করছেন তিনি। কুমুরটুলির খুব কাছে বাড়ি অনিকেতের, তাঁর মা-দাদা-বৌদি এখনও এই শহরের বাসিন্দা। স্বপ্নপূরণের তাগিদে অনিকেত ঘর ছেড়েছেন বছর সাতেক আগে।
সেই স্বপ্নপূরণের পথে এই বিয়ের আসর একটা বড় মাইলস্টোন হয়ে থাকল অনিকেতের জীবনে। এত সাফল্য়, অর্থ-বৈভব সত্ত্বেও মাটির কাছাকাছির মানুষ মুকেশ ও নীতা আমꦦ্বানি, তাঁদের কাছ থেকে দেখে উপলব্ধি অনিকেতের।